ছাত্র জীবনে ৭ই মার্চের ভাষণ বাজিয়ে হামলার শিকার হয়েছি: ড. মুহাম্মদ সামাদ
প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০২৩, ১৯:০৮
ছাত্র জীবনে ৭ই মার্চের ভাষণ বাজিয়ে হামলার শিকার হয়েছি: ড. মুহাম্মদ সামাদ
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ও কবি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ এখন যেভাবে দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচিত হচ্ছে, দীর্ঘ সময় ধরে এদেশে ভাষণটি নিয়ে আলোচনা এমনকি বাজানোও নিষিদ্ধ ছিলো। এই ভাষণ বাজানোর অপরাধে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীদের সাথে ছাত্রজীবনে আমরাও হামলার শিকার হয়েছি।


মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. নিজামুল হক ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ অফিসার্স এসোসিয়েশন, তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারী সমিতি, কারিগরী কর্মচারী সমিতি ও ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার।


কবি মুহাম্মদ সামাদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’র সংগ্রামী জীবনের ইতিহাসই আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস। ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে সর্বজনীন রূপ দেয়া এবং বিশ্ব দরবারে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।


তিনি আরো বলেন, পশ্চিম পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী শুরুতেই ভাষার উপর আঘাত হানে। যার ফলশ্রুতিতে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে গড়ে ওঠে ভাষা আন্দোলন এবং ধাপে ধাপে ১৯৭০ সালের নির্বাচন ও ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ। ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে একটি নিরস্ত্র, নিস্তরঙ্গ কৃষি সমাজকে বঙ্গবন্ধু সশস্ত্র সমাজে পরিণত করেন যারা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন।


সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ সকল যুগে সকল জাতি, সম্প্রদায়, গণতন্ত্র ও মুক্তিকামী মানুষের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস। এই ঐতিহাসিক ভাষণ গণমানুষকে সম্পৃক্ত করে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে একটি স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র বিনির্মাণের ক্ষেত্রে বিশ্বে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তাই বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ শুধু বাঙালির সম্পদ নয়, এখন তা বিশ্ব সম্পদে পরিণত হয়েছে।


উপাচার্য আরো বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা ৭ই মার্চের ভাষণকে এদেশে নিষিদ্ধ করে বিভিন্ন সময় বিকৃত ইতিহাস তৈরির অপচেষ্টা চালায়। কিন্তু এই ভাষণ ইউনেস্কো’র ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্ট্রার’-এ অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি লাভ করায় ইতিহাস বিকৃতির সকল অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়।


কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ভাষণের পটভূমি তুলে ধরে বলেন, অলিখিত এই ভাষণে বঙ্গবন্ধু বাঙালির দুঃখ-দুর্দশার আবেগ প্রকাশের পাশাপাশি কিছু বিষয় সতর্কতা অবলম্বন করেছেন। একদিকে তিনি সতর্ক থেকেছেন যাতে বিশ্বসম্প্রদায় স্বাধীনতা সংগ্রামকে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন হিসেবে আখ্যায়িত করতে না পারে আবার পরোক্ষভাবে তিনি স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছেন। এই ভাষণের মাধ্যমেই বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।


বিবার্তা/রাসেল/এসএ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com