
বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট, সাহিত্যিক ও ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ কালজয়ী গানের রচয়িতা আবদুল গাফফার চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) ডুয়েট উপাচার্য এক শোক বার্তায় বলেন, বাঙালির অসাম্প্রদায়িক মননকে ধারণ করে বিভিন্ন বিষয়ে লেখনীর মাধ্যমে তিনি এ দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখেছেন। তার লেখনীর মাধ্যমে তিনি আজীবন অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় আবদুল গাফফার চৌধুরীর অবদান অবিস্মরণীয়। স্বনামধন্য এ সাংবাদিক স্বাধীনতাযুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের মাধ্যমে নিবন্ধিত স্বাধীন বাংলার প্রথম পত্রিকা সাপ্তাহিক ‘জয় বাংলা’ পত্রিকায় বিভিন্ন লেখালেখির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করেছেন। দেশপ্রেমিক এ কলমযোদ্ধা আবদুল গাফফার চৌধুরী কালজয়ী গান ও লেখনীর মাধ্যমে প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে চির অম্লান হয়ে থাকবেন। তার একুশের গান ও বিভিন্ন লেখনী বাঙালি জাতিকে ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামে অসীম সাহস ও প্রেরণা যুগিয়েছিলো। তার মৃত্যুতে এদেশের মানুষের এবং সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি হলো।
তিনি আরো বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে আবদুল গাফফার চৌধুরী কলমযোদ্ধার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ‘জয় বাংলা’ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পরবর্তীতে তিনি প্রবাসে থেকেও তার লেখনীর মাধ্যমে বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে তুলে ধরেছেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি গল্প, উপন্যাস, স্মৃতিকথা, ছোটদের উপন্যাসও লিখেছেন তিনি। মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অসামান্য অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
আবদুল গাফফার চৌধুরীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান উপাচার্য।
বিবার্তা/এসএফ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]