জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মোমবাতি প্রজ্জ্বালন, মৌন মিছিল ও সমাবেশের মাধ্যমে কালো দিবস পালন করেছে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট। শনিবার (২৭ নভেম্বর ) সন্ধ্যা ৭ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশের পাদদেশ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারের পাদদেশে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে আবৃত্তি সংগঠন ধ্বনির সাধারণ সম্পাদক ইমরান শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটারের (অডিটোরিয়াম) সাধারণ সম্পাদক সৌমিক বাগচী বলেন, ‘ধ্বনিকক্ষের সে ন্যাক্কারজনক ঘটনার দীর্ঘ এক যুগ পার হতে চলছে। কিন্তু আমরা মোমবাতি হাতে নীরব থেকেই যাচ্ছি। তার রহস্য উদঘাটিন হয়নি। কিন্তু আমরা চাই প্রতিবাদের এ চর্চা জারি থাকুক। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার এ চর্চা জারি থাকুক।’
চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘২০১০ এ তৎকালীন প্রশাসন ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে দাবিয়ে রাখতে চেয়েছিল। পৃথিবীর ইতিহাস বলে সংখ্যায় কম হলেও কিছু মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। আমাদের যে শোষণহীন সমাজ গড়ার লড়াই এখান থেকেই তার ভিত্তি গড়ে উঠবে বলে আশা রাখি।’
জোটের সভাপতি দীপংকর চক্রবর্তী বলেন, ধ্বনির কালো দিবসের এ ক্ষত আমাদের শক্তি যোগায়। মুক্তিযুদ্ধের সময় বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল কারণ আমাদের দেশের মেরুদন্ড তারা ভেঙে দিতে চেয়েছিল। পরবর্তী প্রজন্তম যেন দাড়াতে না পারে। তেমনিভাবে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরুদন্ড ভেঙে দিতে হলে যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলে তাদের মুখ বন্ধ করে দিতে চায়। সেজন্যেই তারা ধ্বনির কক্ষে আগুন দেয়। কিন্তু সে আগুন আরো প্রজ্জ্বালিত হয়ে আমাদের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে আরো প্রতিবাদী হতে সাহায্য করেছে।’
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ২৭ নভেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবৃত্তি সংগঠন ধ্বনির কক্ষে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। এর পর থেকে প্রতিবছর এ দিনটিকে কালো দিবস হিসেবে পালন করে আসছে সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বিবার্তা/আয়েশা/আশিক
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]