শিরোনাম
জাবিতে ধর্মঘট অব্যাহতঃ আন্দোলনকারীকে মারধরের অভিযোগ
প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০১৯, ১৬:৪৫
জাবিতে ধর্মঘট অব্যাহতঃ আন্দোলনকারীকে মারধরের অভিযোগ
জাবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামকে অপসারণের দাবিতে ধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে। আন্দোলনকারীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।


ধর্মঘটের তৃতীয় দিন বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে তিনটায় এক সংবাদ সম্মেলনে ধর্মঘট অব্যাহত রাখার এ ঘোষণা দেয়া হয়। আন্দোলনকারীরা একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে শুক্র ও শনিবারে সকল সাপ্তাহিক ও সান্ধ্যকালীন কোর্সের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে।


বুধবার সকাল থেকে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ও পুরাতন প্রশাসনিক ভবন এবং বিভিন্ন একাডেমিক ভবনের ফটকে অবস্থান নেন। অবরোধের ফলে কর্মকর্তা কর্মচারীরা কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পারেননি। উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার কেউই কার্যালয়ে যাননি। ফলে টানা অধরোধে গত তিন দিন যাবৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।


এদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি (জাবি সংসদ) নজির আমিন চৌধুরী জয়কে মারধর ও লাঞ্চনার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মহিবুর রউফ শৈবালের বিরুদ্ধে ।


বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ‘সর্বাত্মক ধর্মঘট’ পালনকালে পুরাতন কলা ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।


প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জান যায়, সকালে পুরাতন কলা ভবনের সামনে কয়েকজন শিক্ষার্থীর সহকারি প্রক্টর মহিবুর রউফ শৈবালের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তিনি নজির আমিন জয়ের হাত ধরে টান দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন। এতে নজির আমিন জয় হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হন এবং পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।


আন্দোলনকারীকে লাঞ্চনার প্রতিবাদের বিক্ষোভ মিছিল করেছে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি পুরাতন কলা ভবন থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, প্রশাসনিক ভবন ও অনুষদ ভবন প্রদক্ষিণ করে পুরাতন রেজিস্টার ভবনের সামনে উপাচার্য অপসারণ মঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। সহকারী প্রক্টর মহিবুর রউফ শৈবাল মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তিনি মাতাল অবস্থায় এধরণের কর্মকাণ্ড করেছেন এনটাই দাবি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের।


এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘এ ধরনের কোনো ঘটনা ভিডিওতে আমি দেখিনি। আমি শুধু শুনেছি, সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে বাক বিতণ্ডার এক পর্যায়ে জয় মাটিতে পড়ে যায়। শৈবাল স্যার তাকে হাত ধরে টেনে তুলেছেন।’


বিবার্তা/শিহাব/জাই


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com