শিরোনাম
চাকরির প্রলোভনে নারীদের ভারতে পাচার করতেন প্রতীক
প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২০, ১৫:৩১
চাকরির প্রলোভনে নারীদের ভারতে পাচার করতেন প্রতীক
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে রাজধানীর সবুজবাগের একটি ফ্লাটে সাবলেট হিসেবে ভাড়া ওঠেন প্রতীক খন্দকার ও জেরিন। ওই ফ্ল্যাটে থাকা এক নারীকে ভালো চাকরি দিয়ে মালয়েশিয়া পাঠাবেন বলে প্ররোচিত করেন তারা।


প্ররোচনায় প্রভাবিত ওই নারীকে মানব পাচারকারী চক্রের অন্য সদস্যদের মাধ্যমে বেনাপোল সীমান্তের একটি বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে ভুক্তভোগী ওই নারীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়। এরপর ভুক্তভোগীকে ভারতে একটি দালাল চক্রের কাছে বিক্রির উদ্দেশ্যে পাচার করার সময় পুলিশ উদ্ধার করে এবং চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করে। তবে পালিয়ে যান মানব পাচারকারী চক্রের মূলহোতা প্রতীক।


ঘটনাটি ঘটে ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর। সবুজবাগ থানায় ভুক্তভোগী ওই নারীর পরিবারের করা মামলায় প্রতারক জান্নাতুল ওরফে জেরিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।


এরপর পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে টানা এক বছর অনুসন্ধানের পর ভারতে নারী বিক্রির জন্য পাচার চক্রের মূলহোতা পলাতক আসামি মহেনুমুজ্জামান ওরফে প্রতীক খন্দকার ওরফে বাবুকে (২৬) গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।


সোমবার (২৪ আগস্ট) চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে গ্রেফতার হওয়া দুই আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।


আসামি প্রতীক খন্দকারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি আইনে পৃথক দুটি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে সিআইডি।


মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ রেজাউল হায়দার। তিনি বলেন, স্বামী-স্ত্রী হিসেবে পরিচিতিটা হলেও আসলে আসামি প্রতীক ও জেরিন দুজনই প্রতারক। প্রতারণার জন্য তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে একত্রে বসবাস ও বিদেশে পাঠানোর জন্য নারীদের বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধ করে তাদের ভারতে দালাল চক্রের কাছে বিক্রি করে দিতেন। তাদের জোরপূর্বক অশালীন কাজে লিপ্ত হতে বাধ্য করা হতো।


সিআইডি জানায়, তারা চাকরি দেয়ার নামে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে প্রলুব্ধ করলেও ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে কোনো টাকা নিতেন না। প্রথম থেকে শুরু করে ভারতে তাদের বিক্রির আগ পর্যন্ত খুব ভালো ব্যবহার করতেন। এরপর ভারতে পাচারের পর তাদেরকে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হতে বাধ্য করত এই চক্রটি। পরে ওই চক্রের কাছে এসব নারীদের বিক্রি করে অর্থ হাতিয়ে নিতেন প্রতীক ও জেরিন।


ডিআইজি শেখ রেজাউল হায়দার বলেন, ‘এর আগেও আসামিরা বিভিন্ন নারীকে সৌদি আরব পাঠানোর কথা বলে ভারতে পাচার করেন এবং অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতে বাধ্য করেন। এ বিষয়ে তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।


বিবার্তা/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com