ধর্ষণের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষক মজনুকে (৩০) শনাক্ত করেছে। তাকে চিনতে পেরেছে।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. ক. সারোয়ার বিন কাসেম বলেন, ‘আমরা আসামিকে গ্রেফতারের পর ভিকটিম শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেছি। তাকে আসামির ছবি দেখানো হয়েছে। আমি নিজেও তার সঙ্গে কথা বলেছি। সে আমাকে বলেছে, ‘আমি পৃথিবীর সব মুখ ভুলে গেলেও এই মুখ কোনোদিন ভুলবো না’।”
বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে কাওরানরাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য জানান। এর আগে বুধবার ভোর রাত ৪টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর শ্যাওড়া রেলক্রসিং থেকে মজনুকে গ্রেফতার করে র্যাব-১।
সারোয়ার বিন কাসেম বলেন, ‘ধর্ষণের পর মজনু ভিকটিমের ব্যাগ, মোবাইল ও পাওয়ার ব্যাংক নিয়ে চলে যায়। সে মোবাইলটা শ্যাওড়া এলাকার অরুণা নামে এক নারীর কাছে বিক্রি করে দেয়। মোবাইলটির ডিসপ্লে ভাঙা থাকায় খায়রুল নামে এক ব্যক্তির কাছে অরুণা সেটি মেরামত করতে দেয়। র্যাব মোবাইলের সূত্র ধরে প্রথমে খায়রুল ও অরুণাকে আটক করে। এরপর তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মজনুকে গ্রেফতার করা হয়। মজনুকে গ্রেফতারের পর তার ছবি ভিকটিমকে দেখিয়ে র্যাব নিশ্চিত হয়।’
মজনু, খায়রুল ও অরুণাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত রবিবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর এক ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে অজ্ঞাত এক যুবক। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত ৩০-৩৫ বছরের এক যুবককে আসামি করা হয়।
বিবার্তা/জাই
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]