ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার অবৈধ ইয়ংমেনস ক্লাবের ক্যাসিনোতে অভিযানের পর ঢাকার আরো তিনটি ক্লাবে অভিযান চালিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা।রাতে এসব ক্লাব থেকে জুয়ার ২৪ লাখ টাকা উদ্ধার এবং ৩৯ জনকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ভোর পর্যন্ত এ অভিযান চলে। এসব ক্লাবে সকাল দশটা থেকে ভোর পর্যন্ত ক্যাসিনোতে চলে জুয়া। সেখানে মাদকের ছড়াছড়ি। পাওয়া যায় ইয়াবাও।
এই ক্লাবগুলো হলো- ইয়ংমেনস ক্লাবের পাশের ঢাকা ওয়ান্ডারাস ক্লাব, গুলিস্তানের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্র এবং বনানীর আহমদ টাওয়ারের গোল্ডেন ঢাকা বাংলাদেশ।
র্যাব জানায়, রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় পীর ইয়ামিনী মার্কেটের পাশে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্রের অবৈধ ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে অভিযান চলানো হয়। এসময় সেখান থেকে জুয়ার সরঞ্জাম, তিন লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় ৩৯ জনকে।
এদিকে বনানী আহম্মেদ টাওয়ারে গোল্ডেন ঢাকা বাংলাদেশ নামক ক্যাসিনোতে অভিযান চালায় র্যাব-১। ক্যাসিনোটি তালাবন্ধ পাওয়া যায়। পরে এটি সিলগালা করে দেয়া হয়।
অপরদিকে ফকিরাপুলের ওয়ান্ডারাস ক্লাব থেকে নগদ ২০ লাখ ২৭ হাজার টাকা, জুয়ার সরঞ্জাম, ২০ হাজার ৫০০ টাকার জাল নোট, বিপুল পরিমাণ মদ ও মাদক জব্দ করা হয়েছে।
র্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম জানান, ওয়ান্ডারাস ক্লাবটি ওই এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মমিনুল হক সাইদ ও মোল্লা মো. কাওসার পরিচালনা করেন।
এর আগে যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার ইয়ংমেনস ক্লাবে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, মদ, বিয়ার ও নগদ ২০ লাখ টাকা জব্দ করা হয়। পাশাপাশি তরুণীসহ ১৪২ জনকে আটক করে সাজা দিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
র্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়া ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। মতিঝিল-ফকিরাপুল ক্লাবপাড়ায় ক্যাসিনো থেকে শুরু করে কমপক্ষে সাতটি সরকারি ভবনে ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ ও সরকারি জমি দখলের মতো নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
জানা যায়, রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল এলাকায় কমপক্ষে ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করেন এই যুবলীগ নেতা। এর মধ্যে ১৬টি ক্লাব নিজের লোকজন দিয়ে আর ফকিরাপুল ইয়ংমেনস নামের ক্লাবটি সরাসরি তিনি পরিচালনা করেন। প্রতিটি ক্লাব থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে এক লাখ টাকা নেন তিনি।
খিলগাঁও-শাহজাহানপুর হয়ে চলাচলকারী লেগুনা ও গণপরিবহন থেকে নিয়মিত টাকা দিতে হয় খালেদকে। প্রতি কোরবানির ঈদে শাহজাহানপুর কলোনি মাঠ, মেরাদিয়া ও কমলাপুর পশুর হাট নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। খিলগাঁও রেল ক্রসিংয়ে প্রতিদিন রাতে মাছের একটি হাট বসান এই নেতা। সেখান থেকে মাসে কমপক্ষে এক কোটি টাকা আদায় করেন তিনি।
বিবার্তা/এরশাদ/জাই
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]