বাজেটে দরিদ্র মানুষের উন্নয়নে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখার দাবি
প্রকাশ : ২৮ মে ২০২৩, ১৭:৫২
বাজেটে দরিদ্র মানুষের উন্নয়নে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখার দাবি
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

দরিদ্র মানুষের উন্নয়নের লক্ষ্যে আসন্ন জাতীয় বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখার দাবি জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থা কোয়ালিশন ফর দ্য আরবান পুওর (কাপ) ও কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড।


২৮ মে, রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘নগর দরিদ্র বিমোচন: সামাজিক সুরক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ ও বৃদ্ধি’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে বক্তারা এই দাবি জানান।


সংলাপে বক্তারা বলেন, ওয়ার্ড ও গ্রাম বা মহল্লার দরিদ্র, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের তালিকা নেই। প্রকৃত তালিকা না থাকায় তারা রাষ্ট্রের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই তালিকা করার ক্ষেত্রে সরকারি লোক, জনপ্রতিনিধি, সিভিল সোসাইটি, স্থানীয় বস্তিবাসী ও শ্রমিকদের সঙ্গে রাখতে হবে। এছাড়াও জরুরি ভিত্তিতে সারাদেশে সার্ভে করে দরিদ্রদের তালিকা তৈরি করতে হবে।


বাজেট বড় হলে দরিদ্র লোক বাড়বে উল্লেখ করে তারা বলেন, বড় বাজেট থামাতে হবে। কারণ, বাজেটের টাকা ধনী শ্রেণির মানুষের পকেট চলে যায়। লুটপাট ও দুর্নীতি না কমালে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে। একই সঙ্গে টিসিবির পণ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহার করার দাবি জানান তারা।


সংলাপে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, আমাদের প্রথম দাবি হওয়া উচিত- নাগরিক স্বীকৃতি। এরপর দরিদ্রের তালিকা করার দাবি। জাতীয় বাজেট বৈষম্যহীনভাবে বাস্তবায়ন করা দরকার।


অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, দেশের ১০ শতাংশ ধনীর কাছে ৪০ শতাংশ দরিদ্র মানুষের ভাগ্য বন্দি। কারণ, এই ৪০ শতাংশ মানুষের বাজেটের বরাদ্দের অর্ধেক নিয়ে যায় এই ধনী শ্রেণি। বাকি অর্ধেক দিয়ে দরিদ্রের ভাগ্য পরিবর্তন সম্ভব হয় না। তাই লুটপাট বন্ধে রাজনৈতিক সদিচ্ছা সবার আগে দরকার।


অন্যদের মধ্যে সিপিআরডি’র প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা বলেন, শহর ও গ্রামে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। রাষ্ট্রের সেবা খাতসহ অন্যান্য খাতে চাকরি করার জন্য গ্রাম ছেড়ে মানুষ শহরমুখী হয়েছে। গ্রামের মানুষ শহরে এসে সর্বপ্রথম আয় বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। অথচ এই দরিদ্র মানুষগুলো ইনফরমাল সেক্টরে কাজ করে ঢাকা সিটির অর্থনীতি চালু রেখেছে।


কিন্তু সরকার তাদের মূল্যায়ন করছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই দরিদ্র মানুষ কম ভোগ করে পরিবেশের সুরক্ষা দিচ্ছে। তাই রাষ্ট্রের সুযোগ-সুবিধা বেশি যারা ভোগ করছে, তাদের ওপর ট্যাক্স আরোপ করতে হবে। আদায়কৃত অর্থ, অর্থনীতি চালু রাখার কারিগরদের মধ্যে বণ্টন করতে হবে।


কাপের চেয়ারপারসন ডা. দিবালোক সিংহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সংলাপে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন উন্নয়ন গবেষক আমিনুর রসুল বাবুল।


এতে অন্যদের মধ্যে এসএটিভির বিজনেস এডিটর সালাউদ্দিন বাবুল, কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মানিশ কুমার আগারওয়াল, কাপের নির্বাহী পরিচালক খোন্দকার রেবেকা সান ইয়াত, বস্তিবাসী অধিকার সুরক্ষা কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হোসনে আরা বেগম রাফেজা প্রমুখ উপস্থিতি ছিলেন।


বিবার্তা/রিয়াদ/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com