
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ চক্র প্রলয় গ্যাংয়ের সদস্যদের চিহ্নিত করতে ১১ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সভাপতিত্বে প্রভোস্ট স্ট্যাডিং কমিটির এক সভায় আন্তঃহল তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কাজ সম্পূর্ণ করে উপাচার্যের নিকট তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
কমিটিতে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল রউফ মামুনকে আহ্বায়ক এবং সহকারী প্রক্টর ড. এম এল পলাশকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন— শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহিম, স্যার এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান, কবি জসীম উদ্দীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো.আব্দুর রশীদ, জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মিহির লাল সাহা, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান, বিজয় একাত্তর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আকরাম হেসেন এবং মাস্টারদা সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ মকবুল হোসেন ভূঁইয়া।
ঢাবি থেকে প্রলয় গ্যাংয়ের দুই সদস্য বহিষ্কার
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন, অসদাচরণ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রলয় গ্যাংয়ের ২জন সদস্যকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন- নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. নাইমুর রহমান দুর্জয়, কবি জসীম উদদীন হল, শিক্ষাবর্ষ ২০২০-২০২১ এবং একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সাকিব ফেরদৌস, স্যার এ এফ রহমান হল, শিক্ষাবর্ষ ২০২০-২০২১।
এছাড়াও সাময়িকভাবে বহিষ্কৃতদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না এই মর্মে কারন দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এরআগে শনিবার ( ২৬ মার্চ) ৮টার দিকে জসিম উদদীন হলের সামনে দ্বিতীয় বর্ষের অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের ইবনে হুমায়ুন নামে এক শিক্ষার্থীকে মেরে রক্তাক্ত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বর্ষের কিছু শিক্ষার্থী। জুবায়ের স্যার এফ রহমান হলের আবাসিক ছাত্র। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। ঘটনা ঘটার কিছুক্ষণ পর খোঁজ নিতে গেলে বেরিয়ে আসে এক গ্যাংয়ের নাম।
সেটি হলো গ্যাং প্রলয়। ক্যাম্পাসে মারামারি, ছিনতাই, র্যাগ দেওয়া থেকে শুরু করে নানান অপকর্মে দেখে এই গ্যাংয়ের সদস্য বানানো হয়। ক্যাম্পাসে তারা মাদকের আখড়া বানিয়েছেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিশু চত্বরের পাশে। এই জায়গার নাম দিয়েছেন 'নিকুম্ভিলা'। তারা তাদের গ্যাংয়ের কার্যালয় বানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. শহিদ মোর্তজা মেডিকেল সেন্টারের তৃতীয় তলায়। গ্যাংয়ের সদস্যরা একত্রে ক্যাম্পাসে চলাফেরা করেন, এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায় সবাই সংঘবদ্ধ হয়ে চলাফেরা করেন। প্রলয় গ্যাংয়ের প্রত্যেক সদস্য ২০২০-২১ সেশনের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
বিবার্তা/ফারুক/নয়ন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]