রাজশাহীতে
যাত্রীকে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যার অভিযোগ
প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১:২৫
যাত্রীকে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যার অভিযোগ
রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

বাসে সিট নিয়ে চালক হেলপারের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার জেরে বাসযাত্রী আলাউদ্দিন আলী টগরকে (৩৫) ধাক্কা দিয়ে বাস থেকে ফেলা দেওয়া হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।


পরে সোমবার (১ ডিসেম্বর) বিকালে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।


নিহত আলাউদ্দিন আলী টগর (৩৫) রাজশাহীর পবা উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের কুলপাড়া গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে।


এদিন রাতে নিহত আলাউদ্দিন টগরের ভাই দুলাল হোসেন বাদী হয়ে আরএমপির কাশিয়াডাঙ্গা থানায় বাসটির চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন।


সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ সড়কের একটি স্থান থেকে বাসটি জব্দ করেছে পুলিশ।


মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ মর্গে ময়না তদন্তের পর টগরের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। টগরের এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে এলাকায় ক্ষোভের পাশাপাশি গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।


মামলার অভিযোগে জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর বিকাল সাড়ে চারটার দিকে টগর তার বোন রুমি খাতুন (২৮) নগরীর বাইপাস সড়কের কাশিয়াডাঙ্গা থানার লিলি হল মোড়ের বাঁশের আড্ডা নামক স্থানে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন গোদাগাড়ী যাওয়ার জন্য। এ সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী একটি লোকাল বাস ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাতে উঠে পড়েন টগর ও তার বোন। বাসে উঠার আগে টগর সুপারভাইজারের কাছে জানতে চান বাসে সিট আছে কিনা। তাদের সিট দেওয়ার কথা বলে তুলে নেন সুপারভাইজার ও হেলপার।


এদিকে টগর ও তার বোন বাসে উটে দেখেন কোন আসন খালি নেই। বরং বাসের ভেতরে গাদাগাদি করে আরও ২০ থেকে ২৫ জন যাত্রী দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এ সময় টগর সুপারভাইজারের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। সিট না থাকলে কেন তাদের সিট দেওয়ার কথা বলে তোলা হলো প্রতিবাদ করেন তিনি।


একপর্যায়ে তাদেরকে নামিয়ে দিতে বলেন সুপারভাইজার ও হেলপারকে। কিন্তু চালক বাসটি না থামিয়ে দ্রুতগতিতে টানতে শুরু করেন। টগর চালককে আবারও বলেন, আমাকে নামিয়ে দিয়ে যান। এ সময় টগর বাসের গেইটে আসেন। এক পর্যায়ে হেলপার ও সুপারভাইজার চলন্ত অবস্থায় টগরকে ধাক্কা দিয়ে সড়কে ফেলে দিয়ে বাসটি নিয়ে দ্রুতগতিতে গন্তব্যের দিকে চলে যায়।


নিহত টগরের ভাই দুলাল হোসেন অভিযোগে আরও জানান, তার বোনের শশুর বাড়ি গোদাগাড়ী। রাজশাহী থেকে গোদাগাড়ীর দুরত্ব ২৮ কিলোমিটার। টগর বোনকে শশুরবাড়িতে পৌঁছে দিতেই বাসে উঠেছিলেন। বাসটির চালক হেলপার ও সুপারভাইজার মিলে তার ভাইকে ধাক্কা দিয়ে সড়কে ফেলে দিয়ে চলে যায়। এলাকার লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় টগরকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। সোমবার (১ ডিসেম্বর) বিকালে চিকিৎসাধীন টগর মারা যায়। রাতেই বাসটির চালক সুপারভাইজার ও হেলপারকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন।


আরএমপির কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল বারী জানান, বাস থেকে যাত্রীকে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় আলাউদ্দিনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাতে নিহতের ভাই দুলাল হোসেন বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছেন।


বিবার্তা/মোস্তাফিজুর/এসএস

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com