দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় নিহারঞ্জন নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, পেট্রোল জ্বালিয়ে হত্যা করেছেন বৃদ্ধের নাতি রুপম রায়। তবে নিহতের পরিবারের লোকজনের দাবি সিগারেটের আগুনে মৃত্যু হয়েছে সেই বৃদ্ধের। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) উপজেলার ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের মাগুরমারি মাঝাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের বাড়িতে অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও নাতি রুপমকে পাওয়া যায় নি।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ২৩ ডিসেম্বর সোমবার নিহত নিহারঞ্জন রায়ের কাছে মোবাইল কিনতে টাকা চান নাতি রুপম রায়। এসময় টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দাদু-নাতি হাতাহাতি হয়। পরে রাগের মাথায় নাতি তন্ময় রায় রুপম রাগান্বিত হয়ে মোটরসাইকেল থেকে পেট্রোল বের করে তার দাদুর গায়ে ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করে। এসময় নিহারঞ্জনের চিৎকারে পরিবারের লোকজন টের পেয়ে পার্শ্ববর্তী নীলফারী সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।

এক পর্যায়ে অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরবর্তীতে জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন নিহারঞ্জন।

তবে নিহত নিহারঞ্জনের ছেলে প্রকাশ রায় বলছেন ভিন্ন কথা৷ তিনি বলেন, সিগারেটের আগুন থেকে আমার বাবার গায়ে আগুন লাগে এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য রায়হান ইসলাম বলেন, ঘটনার দিন এলাকাবাসীর কাছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি, দাদু ও নাতির মধ্যে সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে নাতি রুপম তার দাদুর গায়ে পেট্রোল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। পরে পরিবারের সদস্যরা জানান, তিনি নীলফামারী সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আজকে খবর পাইলাম তিনি ঢাকায় একটি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন।

ঘটনার বিষয়ে খানসামা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজমূল হক সাংবাদিকদের বলেন, সংবাদ পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনার সুরতহাল প্রতিবেদন সংগ্রহ করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিবার্তা/জামান/এনএইচ