
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আরশেদ মন্ডল নামে এক ব্যবসায়ীর কাছে ৩ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের চর-সাদীপুর গ্রামের রশিদ সর্দারের ছেলে মাসুম (৩৫), মজির উদ্দিন সরদারের ছেলে বাচ্চু (৩৬) ও আব্দুল কুদ্দুস সরদারের ছেলে সজিব (২৮) এর বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ করা হয়েছে।
একই এলাকার একছেদ মন্ডলের ছেলে আরশেদ মন্ডল (৫৩) চাঁদা দাবির ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
থানায় অভিযোগ দায়েরের পর অভিযুক্তদের প্রাণনাশের হুমকির ভয়ে আরশেদ মন্ডল গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে তার পরিবার ও এলাকাবাসী জানিয়েছে।
আরশেদ মন্ডলের দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ৪ বছর আগে আরশেদ মন্ডলের ভাই ইদ্রিস আলীকে চোরাই মোবাইল কেনার অপরাধে কুষ্টিয়া (সিআইডি) পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। ইদ্রিস আলীকে ছাড়িয়ে আনার কথা বলে আরশেদ মন্ডলের কাছে থেকে মাসুম ৫০ হাজার টাকা নেয়। পরে মাসুমসহ আরো কয়েকজন একটি মোটরসাইকেল যোগে কুষ্টিয়া থেকে নিজ গ্রামে আসার পথে চর-সাদিপুর লালদহ মাঠের মধ্যে দুর্ঘটনায় আহত হয় মাসুম। দুর্ঘটনার ৪ বছর পর ক্ষতিপূরণ বাবদ আরশেদ মন্ডলের কাছে ৩ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে মাসুম ও তার লোকজন। এ ঘটনার জের ধরে গত ৫ মে একটি চায়ের দোকানে প্রকাশ্য হত্যার হুমকিও দেয় তারা।
এর আগেও ফিলিপনগর এলাকার ডিস ব্যাবসায়ী মাহাবুব মাস্টারের কাছে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করে মাসুম ও তার লোকজন। চাঁদার টাকা না দেয়ায় মাহবুব মাস্টারের ডিস ব্যবসার তার কেটে ও মেশিন নষ্ট করে দেয় মাসুদ ও তার লোকজন এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনার পর ৩-৪ মাস ধরে ওই এলাকার মানুষ ডিসলাইন সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছেন। ডিসলাইন সংযোগ বিচ্ছিন্ন ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেছে।
এ বিষয়ে ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নঈমুদ্দিন সেন্টুর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মাসুম খুব জঘন্য একটি ছেলে। মাসুম ও তার সাথে থাকা লোকজন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষের কাছে অন্যায়ভাবে জোর করে চাঁদা আদায় করে। এর আগে তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু সাবেক এমপি সরওয়ার জাহান বাদশা ভাইয়ের কাছে গিয়ে সমঝোতা করে নেয়। আমি শুনেছি বর্তমানে সে অন্যায়ভাবে মানুষের কাছে চাঁদা দাবি করছে।
চাঁদা দাবির অভিযোগের বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি (তদন্ত) রাকিবুল হাসান বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। খুব শীঘ্রই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে অভিযুক্ত মাসুমের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
বিবার্তা/শরীফুল/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]