
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ঝিনাইদহে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। গতকাল (২৬ মে) বিকাল থেকে থেমে থেমে গুড়ি বৃষ্টি হলেও রাত বাড়ার সাথে সাথে ঝড়টি প্রভাব বিস্তার শুরু করে পুরো জেলা জুড়ে। রাত ১০টার পর থেকে থেমে থেমে দমকা বাতাসের সাথে রাত ১টার পর থেকে শুরু হয় মুশলধারে বৃষ্টি ।
জানা যায়, বৃষ্টির প্রভাবে খেটে খাওয়া মানুষের জীবন যাত্রা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। রিকশা, ভ্যান চালকরা পড়েছে বিপাকে। রাস্তায় মানুষ শূন্য। জরুরি কাজ ছাড়া মানুষ ঘর থেকে খুব একটা বের হয়নি। স্কুল কলেজে ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতির হার বলতে গেলে শূণ্যের কোঠায়। তবে সকালে বৃষ্টি উপেক্ষা করে অফিস মুখী মানুষ বাধ্য হয়েই ঘর থেকে বের হয়। তবে দূর পাল্লার সব বাস সঠিক সময়ে চলছে বলে জানায় টার্মিনাল থেকে।
ঝিনাইদহের প্রধান প্রধান মোড় যেমন পায়রা চত্বর, মুজিব চত্বর, আরাপপুর মোড়, হামদহ মোড়ে ঘুরে দেখা যায় সাধারণ মানুষের পদচারণা নেই বলেলেও চলে। বড় বড় বিপণি ও শপিং মল এবং দোকান ছাড়া, ছোটখাটো দোকান গুলো বন্ধ। আর যারা খুলেছেন তারা দোকানেই অলস সময় কাটাচ্ছেন।
রিকশাওয়ালা সবেদ আলী জানান, আরে ভাই কোন যাত্রী নাই। রিকশা নিয়ে বের হওয়ায় ভুল হয়েছে।
ভ্যানওয়ালা কৃষ্ণপদ জানান, বৃষ্টি হচ্ছে তো মালামাল সরবরাহের কোনো সুযোগ নেই। একরকম বসেই সময় কাটাতে হচ্ছে।
তবে ঝিনাইদহ কোন আবহাওয়া অফিস না থাকায় কি পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে তা জানা সম্ভব হয়নি ।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রথীন্দ্রনাথ রায় বলেন, আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছি যে কোন অবস্থার জন্য। তবে এখনও কোনো ধরনের হামলার খবর পাওয়া যায়নি। ৬ উপজেলায় আলাদা আলাদা মিটিং হয়েছে। শুকনো খাবারসহ ইউনিয়নে ইউনিয়নের সরকারি স্কুলে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, থেমে থেমে বৃষ্টি ও মাঝে মাঝে দমকা বাতাসের মধ্যেই জেলায় এ ঝড় অতিক্রম করছে। মানুষকে নিরাপদে থাকার জন্য মেসেজ প্রদান করা হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে যেন কেউ বের না হয়। উপজেলা পর্যায়ে সবসময় যোগাযোগ রক্ষা করে চলা হচ্ছে।
বিবার্তা/রায়হান/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]