ঘূর্ণিঝড় রেমাল
শরণখোলার আশ্রয় কেন্দ্রে ৩ হাজার মানুষ, সাত থেকে আট ফুট উচ্চতায় প্লাবিত
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৪, ১৯:৪৭
শরণখোলার আশ্রয় কেন্দ্রে ৩ হাজার মানুষ, সাত থেকে আট ফুট উচ্চতায় প্লাবিত
বাগেরহাট প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর প্রভাবে জোয়ারের পানিতে পূর্ব সুন্দরবনে সাত থেকে আট ফুট উচ্চতায় প্লাবিত হয়ছে। ফলে, দুবলারচরে জব্দকৃত ট্রলার ও জেটি ভেসে গেছে এবং চারটি মিস্টি পানির পুকুর লবণ পানতি ডুবে গেছে।


২৬ মে, রবিবার সকাল উপকূলীয় উপজেলা শরণখোলায় থেকে দমকা ঝড়ো হাওয়া ও থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে।


উপজেলার বলেশ্বর নদীতে স্বাভাবিকের থেকে তার থেকে পাসপোর্ট উচ্চতায় পানি বেড়েছে। সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত বিভিন্ন সাইক্লোন শেল্টারে অন্তত তিন হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। বেড়িবাঁধের বাইরে বেশ কিছু ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। উপজেলায় মোট ৯০টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত করা সহ সবরকম প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।


বনবিভাগ জানায়, রবিবার দুপুরে দুবলার চরে সাত থেকে আট ফুট জলোচ্ছ্বাস প্লাবিত হয়েছে। দুবলার আলোরকোল, মাঝের কিল্লা, অফিস কিল্লা ও শেলার চরের পুকুর পাড় ভেঙ্গে চারটি পুকুর লবণ পানিতে ডুবে গেছে। ভেসে গেছে দুবলার অফিসের জেটি ও জব্দকৃত দুটি ট্রলার।


পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টের সুরজিৎ চৌধুরী জানা, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব সুন্দরবনরে কটকা বনাঞ্চল প্লাবতি হয়েছে। ডুবে গেছে রেস্ট হাউস, বনরক্ষীদের ব্যারাক ও অফিস।


বন বিভাগের খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের হাত থেকে রক্ষা পেতে দুবলা, কচিখালী শেলারচর, অফিস কিল্লা, সহ সাগর তীরবর্তী ফরেস্ট ক্যাম্প সমূহের বনরক্ষীদের নিরাপদ জায়গায় সর যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।


এদিকে, সিপিপি কর্মী ওয়াহিদুজ্জামান ডালিম জানান শরণখোলায় বেরিবাঁধের বাইরে বেশ কিছু ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। এসব মানুষ ইতিমধ্যে আশ্রয় নিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে সকলকে নিরাপদ আশ্রয় নেয়ার জন্য বলা হচ্ছে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন সাইক্লোন শিলটারে অন্তত তিন হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। বালেশ্বর নদীতে চার থেকে পাঁচ ফুট উচ্চতায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।


উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুদীপ্ত কুমার সিংহ সুদীপ্ত কুমার সিংহ জানান, বিকাল চারটা পর্যন্ত উপজেলা বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে ১৬'শ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।


তিনি আরও জানান, উপজেলায় ৯০টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। পাঁচটি কন্ট্রোল রুম ও পাঁচটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনা খাবার ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট রাখা হয়েছে।


বিবার্তা/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com