
টানা কয়েকদিনের বিরতির পর চুয়াডাঙ্গায় আবারও শুরু হয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এতে করে জেলাবাসীর জীবনে নেমে এসেছে অস্বস্তি। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে খেটে খাওয়া মানুষ।
২৫ মে, শনিবার সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করে ৩৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সে সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫৮ শতাংশ।
দুপুর ১২ টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সে সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩৯ শতাংশ। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বেড়েছে জেলার তাপমাত্রার পারদ।
আবহাওয়া অফিস বিকেল ৩টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করে ৪১দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫৮ শতাংশ।
এর আগে শুক্রবার (২৪ মে) বিকেল ৩টায় জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪২ শতাংশ।
ব্যাটারিচালিত ভ্যান চালক জব্বার আলী বলেন, কদিন বেশ আবহাওয়া ভালো ছিল। আবারো সেই আগের মতো গরম পড়া শুরু হয়েছে। এই গরমে রোদে যাত্রী কম মিলছে রাস্তায়।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্র বলছে, গত ১৯ দিন চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ৩৩-৩৮ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছিল। চলতি মাসের ৫ তারিখে ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরমে জনজীবনে অস্বস্তি লাগছে। আগামীকাল রবিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
উল্লেখ্য, চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমের শুরু থেকে বেশিরভাগ দিনই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়ে আসছে চুয়াডাঙ্গায়। গত ৩০ এপ্রিল জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
বিবার্তা/আসিম/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]