কমলগঞ্জে মদের বর্জ্য খেয়ে দুই গরুর মৃত্যু, ঋণ শোধ নিয়ে দুশ্চিন্তা
প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:১১
কমলগঞ্জে মদের বর্জ্য খেয়ে দুই গরুর মৃত্যু, ঋণ শোধ নিয়ে দুশ্চিন্তা
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর কানিহাটি একটি চা-বাগানে ‘দেশি মদের’ বর্জ্য খেয়ে দুটি গরুর মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার শমশেরনগর কানিহাটি চা-বাগানের অফিসটিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে রবিবার (১৪ জানুয়ারি) আরেকটি গরুর মৃত্যু হয়। এতে ঋণগ্রস্ত শ্রমিক আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।


১৭ জানুয়ারি, বুধবার দুপুর ১২টায় কানিহাটি চা বাগানের অফিসটিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কানিহাটি চা বাগানের বিরন মৃধা দীর্ঘদিন ধরে দেশীয় চোলাই মদ উৎপাদন ও বিক্রয় করে আসছেন। প্রতিদিন শত শত লিটার মদ উৎপাদন ও বিক্রি করা হয়। স্থানীয় চা শ্রমিকরা এসব মদ পান করেন এবং অন্যান্য বাগানেও মদ বিক্রি করা হয়। এসব মদ উৎপাদনে গুড়, নিশাদল, কেমিক্যালসহ নানা ধরণের বিষাক্ত পদার্থের সংমিশ্রণে দেশীয় মদ উৎপাদিত হচ্ছে। পরবর্তীতে মদের বর্জ্য পদার্থ যত্রতত্র ফেলে দেয়া হয়। এভাবে মদের বর্জ্য বিরন মৃধার বাসা সংলগ্ন ড্রেনে ফেলে দেয়ার পর গবাদি পশু খেয়ে ফেলে। বিষাক্ত বর্জ্য খেয়ে গত রবিবার ও গতকাল বুধবার একই বাগানের মিনা রায়ের দুটি গরু পেট ফুলে মারা যায়।


বাগানের ভেতর বিরন মৃধা নামে একজন তৈরি করা দেশীয় চোলাই মদের বর্জ্য খেয়ে গরু দুটির মৃত্যু হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত গরু মালিক মিনা রায়ের অভিযোগ। ঋণ করে কেনা গরু মৃত্যুর ঘটনায় আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন ওই চা-শ্রমিক। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিরন মৃধা।


অভিযোগ করে মিনা রায় বলেন, মদের আবর্জনা খেয়ে দুইদিনে আমার দুটি গরু মারা গেছে। এতে লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে।


তিনি আরও বলেন, গরুর মুখে মদের দুর্ঘন্ধ পাওয়া গেছে এবং গরু বমি করার পরও মদের বর্জ্য দেখা গেছে। আমি নিজে ব্র্যাক থেকে ঋণ নিয়ে গরুগুলি কিনেছি। যত্ন করে লালন পালন করছি। এখন মদের ময়লা খেয়ে আমার দুইট গরু মারা যাওয়ায় বড় ধরণের ক্ষতিতে পড়লাম।


অভিযোগ বিষয়ে গরু মারা যাওয়ার কথা স্বীকার করে বিরন মৃধা বলেন, আমি সতর্কতার সহিত মদ তৈরি করি এবং বর্জ্যগুলো একটি গর্তে ফেলে দেই। আমার বর্জ্য খেয়ে গরু মারা যায়নি।


উল্লেখ্য, কানিহাটি চা বাগানের মাদক বিক্রেতা বিরন মৃধার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা রয়েছে এবং এসংক্রান্ত বিষয়ে কয়েক দফা জেলহাজতেও ছিলেন। স্থানীয়ভাবে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে এবং তিনি চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচিত।


এ ব্যাপারে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শামীম আকনজি বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com