দুর্গাপুরে কালবৈশাখীর তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
প্রকাশ : ০৭ মে ২০২৩, ২৩:০৫
দুর্গাপুরে কালবৈশাখীর তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে আকস্মিক কালবৈশাখীর তাণ্ডবে শতাধিক ঘরবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। উপড়ে গেছে অসংখ্য গাছ-পালা। গাছের ডাল পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ঝড়ের পাশাপাশি শিলা বৃষ্টিতে উঠতি বোরো ধান, আম ও লিচুসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ৬ মে, শনিবার বিকেলে কাল বৈশাখী ঝড় শুরু হয়। এ ঝড় প্রায় ১ ঘন্টা স্থায়ী ছিল।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাল বৈশাখীর তাণ্ডবে উপজেলার ৩৯টি ইউনিয়নের প্রায় গ্রামগুলোতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে বেশি ক্ষতি হয়েছে সদর ইউনিয়ন ও চণ্ডিগড় ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে। লণ্ডভণ্ড হয়েছে ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শতাধিক ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গাছপালা।


ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো সদর ইউনিয়নের বারমারি উচ্চ বিদ্যালয়, জামিয়া ইসলামিয়া আসাদিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসা, চণ্ডিগড় ইউনিয়নের নবারুণ উচ্চ বিদ্যালয়।


বারমারি গ্রামের শওকত মিয়া বিবার্তাকে বলেন, শনিবার বিকেলের দিকে হঠাৎ ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। এতে অনেক ঘরবাড়ি ও গাছ ভেঙে গেছে। উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ বন্ধ রয়েছে।


চণ্ডিগড় ইউনিয়নের জাহিদ মিয়া বিবার্তাকে বলেন, হঠাৎ ঝড় শুরু হয়। ঝড়ে গাছপালা পড়ে অনেকের বাড়ি ঘরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গাছ ও ডাল-পালা পড়ে অনেক দোকান-পাটও ভেঙে গেছে।


বারমারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চন্দন দাস বিবার্তাকে জানান, হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যালয়ের ক্ষয়ক্ষতির খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক গিয়ে দেখেন টিনের চাল ভেঙে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে।


নবারুণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অশোক কুমার ভাদুড়ি বিবার্তাকে জানান, ঝড়ে শ্রেণিকক্ষের টিনের চাল উড়িয়ে নিয়ে ধান ক্ষেতে ফেলেছে।


দুর্গাপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোহাম্মদ হারিছ উদ্দিন বিবার্তাকে জানান, এই ঝড়ে বারমারি এলাকার বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপড়ে পড়েছে অনেক গাছপালা ও ক্ষণিকের শিলা বৃষ্টিতে পাকা বোরো ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে।


দুর্গাপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার দিলোয়ার হোসেন খান বিবার্তাকে বলেন, ঝড়ের তাণ্ডবে গাছের ডাল পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে প্রায় ১১ হাজার মানুষ। প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছি ৩টি খুঁটি ভেঙে গেছে। আমাদের টিম মেরামতের কাজ করছে।


উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বিবার্তাকে বলেন, কাল বৈশাখী ঝড়ের কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। তালিকা তৈরি করে যতটুকু সম্ভব ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করা হবে।


বিবার্তা/রফিক/রোমেল/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com