সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) শেয়ারবাজারকে বড় দরপতন থেকে রক্ষা করেছে বীমা ও বস্ত্র খাত। এদিন এই ২ খাতের মধ্যে বীমা খাতের ২৭ কোম্পানির দর বাড়লেও কমেছে ১১টির। অর্থাৎ কোম্পানিগুলোর দর কমার তুলনায় বেড়েছে দ্বিগুনেরও বেশি।

অপরদিকে বস্ত্র খাতের ১০টি কোম্পানির দর বাড়লেও কমেছে মাত্র ১টির। অর্থাৎ দর কমার তুলনায় ১০ গুণ দর বেড়েছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, আজ প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১.০৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ২৫৭.১৪ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ০.৮৬ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১.৮০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে একহাজার ৩৫৯.২৮ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ১১৮.৯৩ পয়েন্টে।

ডিএসইতে ২৯৩টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৯টির বা ২৩.৫৫ শতাংশের দর বেড়েছে। শেয়ার দর কমেছে ৬২টির বা ২১.১৬ শতাংশের এবং ১৬২টির বা ৫৫.২৯ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

ডিএসইতে আজ ৩৬০ কোটি ৭৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ২৮৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা কম। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৬৪৫ কোটি ০০ লাখ টাকা।

এদিন অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৫.০৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৪১.৯২ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসসিএক্স ৩.০৬ পয়েন্ট,সিএসই-৩০ সূচক ২২.২৫ পয়েন্ট, সিএসই-৫০ সূচক ০.৬৭ পয়েন্ট এবং সিএসআই ০.০০৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১ হাজার ৮৯.৮৪ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩৪২.০৬ পয়েন্টে, একহাজার ৩০৬.২০ পয়েন্টে এবং একহাজার ১৭৩.২৩ পয়েন্টে।

আজ সিএসইতে ১৩২টি প্রতিষ্ঠানে লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৩টির, কমেছে ৪৭টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫২টি প্রতিষ্ঠানের। আজ সিএসইতে ৬ কোটি ১২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।

বিবার্তা/লিমন