শীতে অজু ও গোসলে সতর্কতা জরুরি
প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৫২
শীতে অজু ও গোসলে সতর্কতা জরুরি
ধর্ম ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে আবশ্যকভাবে একজন মুসলমানকে অজু করতে হয়। আর ফরজ গোসল ছাড়াও পরিচ্ছন্নতার জন্য নিয়মতি গোসল করা মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। অজুর মোট চারটি ফরজ রয়েছে এবং গোসলের তিনটি ফরজ রয়েছে—যা সঠিকভাবে আদায় না করলে অজু-গোসল আদায় হয় না। বিশেষ করে শীতকালে এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা একান্ত জরুরি। হাদিসে এ বিষয়ে জোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে।


অজুতে যেসব অঙ্গ ধোয়া ফরজ, তা সামান্য শুকনা থেকে গেলে অজু হবে না। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, কোনো এক সফরে আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের পেছনে পড়ে গেলেন। পরে তিনি আমাদের কাছে পৌঁছলেন। এদিকে আমরা (আসরের) নামাজ আদায় করতে বিলম্ব করে ফেলেছিলাম। তাই (তা আদায় করার জন্য) আমরা অজু করা শুরু করলাম। এ সময় আমরা আমাদের পা কোনোমতে পানি দ্বারা ভিজিয়ে নিচ্ছিলাম। তখন তিনি উচ্চ স্বরে বলেন, ‘সর্বনাশ! গোড়ালির নিচের অংশের জন্য জাহান্নামের আগুন রয়েছে।’ তিনি দুই বা তিনবার এ কথা বললেন। (বুখারি: ৯৬; মুসলিম: ২৪১)


ইবনুল উসাইমিন (রহ.) বলেন, ‘মানুষ যদি পবিত্রতা অর্জনের অঙ্গে তৈলাক্ত বস্তু (তেল, ক্রিম) ব্যবহার করে, তাহলে দেখতে হবে যদি ওই তৈলাক্ত বস্তুটি জমাট বাঁধা ও আবরণবিশিষ্ট হয়, তাহলে পবিত্রতা অর্জনের আগে অবশ্যই তা দূর করতে হবে। যদি তৈলাক্ত বস্তু সেভাবেই জমাট বাঁধা অবস্থায় থেকে যায়, তাহলে তা চামড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছতে বাধা দেবে। এতে তখন পবিত্রতা শুদ্ধ হবে না। যদি তৈলাক্ত বস্তুটির কোনো আবরণ না থাকে কিন্তু পবিত্রতার অঙ্গগুলোর ওপর সেগুলোর চিহ্ন অবশিষ্ট থেকে যায়, তাহলে তাতে কোনো ক্ষতি নেই। কিন্তু এই অবস্থায় ওই অঙ্গের ওপর হাত বুলিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।’ (ফাতাওয়াত তাহারাহ, পৃষ্ঠা: ১৭৪)


বিবার্তা/মাসুম

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com