জুমাদিনে সৃষ্টি আদম (আ.), কিয়ামত হবে কবে?
প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:১১
জুমাদিনে সৃষ্টি আদম (আ.), কিয়ামত হবে কবে?
ধর্ম ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

রসুলুল্লাহ সা. বলেন, ‘জুমার দিন দিবসসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ, তা আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত।’ (ইবনে মাজাহ: হাদিস ১০৮৪) সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় জুমার দিনের আমল অনেক বেশি ও গুরুত্বপূর্ণ। এ দিনের বিশেষ মর্যাদার কথা জানা যায় কোরআন-হাদিসের বিভিন্ন ব্যাখ্যায়।


জুমাবার মুসলমানদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনকে সাপ্তাহিক ঈদ বলা হয়েছে হাদিসে। সৃষ্টিজগতের শুরু থেকে দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জুমার দিনেই সংঘটিত হবে মহাপ্রলয় বা কিয়ামত।


হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, রসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘সূর্য যেসব দিন উদিত হয় অর্থাৎ দিনসমূহের মধ্যে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমার দিন। এই দিনে আল্লাহ তাআলা আদম আ.-কে সৃষ্টি করেছেন। তাকে দুনিয়ায় নামানো হয়েছে। এই দিনেই তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। তার তওবা কবুল হয়েছে।


এই দিনেই কেয়ামত সংঘটিত হবে। মানুষ ও জিন ছাড়া এমন কোনো প্রাণী নেই, যারা কেয়ামত কায়েম হওয়ার ভয়ে জুমার দিন ভোর থেকে সূর্য ওঠা পর্যন্ত চিৎকার করতে থাকে না। জুমার দিন একটি সময় আছে, কোনো মুসলিম যদি সে সময় নামাজ আদায় করে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তাকে তা দান করবেন।’ (আবু দাউদ: ১০৪৬; নাসায়ি: ১৪৩০; সহিহ ইবনে হিব্বান: ২৭৭২)


নবী সা. অন্য হাদিসে বলেন, সূর্য যেসব দিন উদিত হয় অর্থাৎ দিনসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম দিন হলো জুমার দিন। এই দিনে আদম আ.-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিন তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে। এই দিনই তাকে জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে। কেয়ামতও সংঘটিত হবে এই দিনেই। (মুসলিম ৮৫৪, মুসনাদে আহমদ ৯৪০৯, তিরমিজি ৪৮৮)


জুমার দিনের বিশেষ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে। এসবের মধ্যে যোগ হয়েছে কেয়ামতও, যা সবচেয়ে ভয়ংকর। যার ভয়ে ভীত ও আতঙ্কিত থাকে সব সৃষ্টিকুল। বলা হয়েছে, আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতারা পর্যন্ত জুমার দিন (কেয়ামতের আশঙ্কায়) ভীতসন্ত্রস্ত থাকে। পৃথিবী, আকাশ, বাতাস, পাহাড়, পর্বত, সাগর সবকিছু জুমার দিন (কেয়ামতের আশঙ্কায়) উদ্বিগ্ন থাকে। (মুসনাদে আহমদ: ১৫৫৪৮; ইবনে মাজাহ: ১০৮৪১)


সবকটি হাদিসই প্রমাণ করছে, মানুষ ও জিন ছাড়া সবকিছু এমনকি আকাশ-বাতাস, পাহাড়-সাগরও জুমার দিন শুরু হলেই ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে।


মর্যাদপূর্ণ এই দিনের বিশেষ একটি আমল হচ্ছে সুরা কাহফ তিলওয়াত করা। আবু সাঈদ খুদরি রা. থেকে বর্ণিত, রসুল সা. বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহফ পাঠ করবে তার জন্য দুই জুমা পর্যন্ত নূর উজ্জ্বল করা হবে। (আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইল ৯৫২)


রসুল সা. বলেন, দিনসমূহের মধ্যে জুমার দিনই সর্বোত্তম। এই দিনে আদম আ.-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। এই দিনে শিঙ্গায় ফুঁ দেয়া হবে। এই দিনে সমস্ত সৃষ্টিকে বেহুশ করা হবে। অতএব তোমরা এই দিনে আমার ওপর অধিক পরিমাণে দরূদ পাঠ করো। কেননা তোমাদের দরূদ আমার সম্মুখে পেশ করা হয়ে থাকে। (আবু দাউদ ১০৪৭)


বিবার্তা/মাসুম

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com