শিরোনাম
নামাজে অবহেলার পরিণতি
প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:১৬
নামাজে অবহেলার পরিণতি
ধর্ম ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘মুমিন ও কাফেরের মধ্যে পার্থক্য নামাজ ত্যাগ করা।’ (মুসলিম, আবু দাউদ, নাসায়ী, তিরমিযী)।


নামাজ পড়ে কিন্তু অবহেলা করে। এ অভ্যাস আল্লাহ পছন্দ করেন না। যেহেতু নামাজ ফরজ ইবাদত। তাই সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নামাজ পড়ে নেওয়া জরুরি। যে ব্যক্তি নামাজের ওয়াক্ত হওয়া সত্ত্বেও ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করে তাদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনা। আল্লাহ তাআলা এ সব নামাজিদের জন্য শাস্তির ভয় দেখিয়েছেন।


হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নামাজ নষ্ট করার অর্থ এই নয় যে, নামাজ সম্পূর্ণভাবে তরক করেছে। এর অর্থ হলো- সময় চলে যাওযার পর আদায় করা।


হজরত সাঈদ ইবনুল মুসাইয়িব রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, এর অর্থ পরবর্তী নামাজের সময় এসে পড়া পর্যন্ত বিলম্বিত করা।


যে লোক নামাজকে এভাবে বিলম্বিত করে বা অবহেলা করে তওবা না করেই মারা যায়, আল্লাহ তাকে জাহান্নামের‘গায়’নামক কূপে নিক্ষেপের হুমকি দিয়েছেন। এটা জাহান্নামের অত্যন্ত নীচ ও নোংরা একটি গহব্বরেরনাম।


মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা বলেন,
فَخَلَفَمِنبَعْدِهِمْخَلْفٌأَضَاعُواالصَّلَاةَوَاتَّبَعُواالشَّهَوَاتِفَسَوْفَيَلْقَوْنَغَيًّا



‘অতঃপর তাদের পরে এল অপদার্থ পরবর্তীরা। তারা নামাজ নষ্ট করল এবং কুপ্রবৃত্তির অন্তরবর্তী হলো। সুতরাং তারা অচিরেই পথভ্রষ্টতা প্রত্যক্ষ করবে।’


إِلَّامَنتَابَوَآمَنَوَعَمِلَصَالِحًافَأُوْلَئِكَيَدْخُلُونَالْجَنَّةَوَلَايُظْلَمُونَشَيْئًا



‘কিন্তু তারাব্যতীত, যারা তওবা করেছে, বিশ্বাস স্থাপন করেছে। সুতরাং তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের ওপর কোন জুলুম করা হবে না।’(সূরা: মারইয়াম, আয়াত: ৫৯-৬০)।


হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, নামাজ নষ্ট করার অর্থ এই নয় যে, নামাজ সম্পূর্ণভাবে তরক করেছে। এর অর্থ হলো সময় চলে যাওযার পর আদায় করা। হজরত সাঈদ ইবনুল মুসাইয়িব (রা.) বলেন, এর অর্থ পরবর্তী নামাজের সময় এসে পড়া পর্যন্ত বিলম্বিত করা।


যে লোক নামাজকে এভাবে বিলম্বিত করে বা অবহেলা করে তওবা না করেই মারা যায়, আল্লাহ তাকে জাহান্নামের‘গায়’নামক কূপে নিক্ষেপের হুমকি দিয়েছেন। এটা জাহান্নামের অত্যন্ত নীচ ও নোংরা একটি গহব্বরেরনাম।


সূরামাউনের ৪, ৫ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, সেই সব নামাজীদের জন্য‘ওয়াইল’যারা নিজেদের নামাজের ব্যাপারে অবহেলা বা শিথিলতা করে। অর্থাৎ আলসেমী বা গড়িমসি করে। হজরত সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস বলেন, আমি রাসূল (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে, এই  অবহেলা বা শিথিলতা কী? তিনি বলেন, নির্দিষ্ট সময় থেকে বিলম্বিত করা। তাদেরকে নামাজী বলা হয়েছে। কিন্তু উদাসীনতা ও বিলম্বের কারণে তাদের‘ওয়াইল’এর হুমকি দেয়া হয়েছে। ওয়াইল অর্থ আযাবের কঠোরতা।


রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা অন্য আয়াতে বলেন,


يَاأَيُّهَاالَّذِينَآمَنُوالَاتُلْهِكُمْأَمْوَالُكُمْوَلَاأَوْلَادُكُمْعَنذِكْرِاللَّهِوَمَنيَفْعَلْذَلِكَفَأُوْلَئِكَهُمُالْخَاسِرُونَ


‘মুমিনগণ! তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল না করে। যারা এ কারণে গাফেল হয়, তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত।’ (সূরা: মুনাফিকূন, আয়াত: ৯)।


এ আয়াতে‘আল্লাহর স্মরণ’বলতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজকে বুঝানো হয়েছে। অতএব যে ব্যক্তি ব্যবসা-বাণিজ্য, খেত-খামার এবং পরিবার-পরিজনের প্রয়োজন মিটানোর ব্যস্ততার দরুন যথাসময়ে নামাজ আদায় করে না, সে ক্ষতির সম্মুখীন হবে। 


রাসূল (সা.) বলেছেন, হাশরেরদিন প্রথমেই বান্দার আমলসমূহের মধ্যে নামাজের হিসেব নেয়া হবে। নামাজ সঠিকভাবে আদায় করে থাকলে পরিত্রাণ পাবে নচেৎ ব্যর্থতা অবধারিত। (তিবরানী)।


রাসূল (সা.) বলেন, ‘যে ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ছেড়ে দিল, সে আল্লাহর জিম্মাদারী থেকে বের হয়ে পড়ল।’ তিনি আরো বলেছেন, ‘মানুষের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য আমাকে আদেশ দেয়া হয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা বলবে, আল্লাহ ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই এবংনামাজ ও জাকাত না আদায় করবে। যখন এগুলো করবে, তখন ন্যায়সঙ্গত কারণ ছাড়া তাদের জান-মাল আমার হাতে নিরাপদ। তাদেরকে আল্লাহর কাছে হিসাব দিতে হবে। (বুখারি ও মুসলিম)।


নবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি পরিপূর্ণভাবে নামাজ আদায় করবে, বিচার দিবসে তার জন্য নামাজ নূর হবে এবং মুক্তির উপায় হবে। আর যে ঠিকমত নামাজ আদায় করবে না, তারজন্য নামাজ নূর ও নাজাতের উসীলা হবে না। হাশরের দিন তার ফেরাউন, কারুণ, হামান ও উবাই বিন খালফের সঙ্গে হাশর হবে। (আহমাদ, তিবরানী)।


বিবার্তা/এসবি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com