পাহাড়ি জনপদের মানুষ দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় সম্পৃক্ত হয়েছে উল্লেখ করে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সংঘটিত শান্তি চুক্তি ও এর বাস্তবায়নের ফলে পাহাড়ে শান্তি ফিরে এসেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন ও অগ্রগতি জোরদার হয়েছে। সেখানকার মানুষ দেশের অগ্রযাত্রায় অবদান রাখছে।

২২ জানুয়ারি, রবিবার প্রতিমন্ত্রী সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) এর ৮নং ফ্লোরে ব্রাক ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘ব্রাক বিতর্ক বিকাশ: পাহাড়ে বিতর্ক উৎসব’ শিরোনামে বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সরকার দেশের ৪৯টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বর্ণিল ও বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সংস্কৃতি সংরক্ষণ, চর্চা ও বিকাশের লক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় পার্বত্য এলাকার তিনটি জেলায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিতর্কের বিষয়বস্তু অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে। বাল্যবিবাহ একটি দুষ্ট ব্যাধি। এ ব্যাধি দূরীকরণে সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং আইনের সঠিক প্রয়োগ ঘটাতে হবে।

ব্র্যাকের এডুকেশন, স্কিলস ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের পরিচালক সাফি রহমান খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্ত রাখেন- ব্র্যাক এডুকেশন প্রোগ্রামের কর্মসূচি প্রধান প্রফুল্ল চন্দ্র বর্মন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

উদ্বোধনী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে রাঙ্গামাটি জেলার মোনঘর আবাসিক বিদ্যালয় ও বান্দরবান জেলার সুয়ালক উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতিযোগিতার বিষয় নির্ধারণ করা হয় ‘সামাজিক সচেতনতাই পারে বাল্যবিবাহ রোধ করতে’।

বিষয়টির পক্ষে বিতর্কে অংশ নেয় রাঙ্গামাটি জেলার মোনঘর আবাসিক বিদ্যালয় ও বিপক্ষে ছিল বান্দরবান জেলার সুয়ালক উচ্চ বিদ্যালয়। বিচারকদের রায়ে রাঙ্গামাটি জেলার মোনঘর আবাসিক বিদ্যালয় জয়লাভ করে।

বিবার্তা/সানজিদা/জামাল