জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ : আপিল প্রস্তুতে সময় পেল ২ মাস
প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:২৯
জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ : আপিল প্রস্তুতে সময় পেল ২ মাস
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দেয়া নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন অবৈধ বলে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সার সংক্ষেপ প্রস্তুত করতে চূড়ান্তভাবে দুই মাস সময় দিয়েছেন আপিল বিভাগ।


মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।


আপিল বিভাগে জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ। রিটকারী পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর।


ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর বলেন, মামলাটি শুনানি করার জন্য আমরা অনেকবার উদ্যোগ নিয়েছি। আদালত তাদেরকে অনেকবার সময় দিয়েছেন। ওনারা গড়িমসি করে রেডি করছেন না। আজকে ফাইনাল আদেশ দিলো, যদি আট সপ্তাহের মধ্যে ফাইল (আপিলের সার সংক্ষেপ) শুনানির জন্য রেডি না করে তাহলে ডিফল্ট (খারিজ) হয়ে যাবে।


আইনজীবী মতিউর রহমান আকন্দ জানান, মামলাটি শুনানির জন্য আজকে আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ছিলো। আদালত আগামী দুই মাসের সময় দিয়েছেন। এই দুই মাসের মধ্যে আপিলের সার সংক্ষেপ জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। আর কোনো সময় দেবেন না বলেও উল্লেখ করেছেন।


তিনি জানান, আদালতের আদেশ অনুসারে মামলার শুনানিতে জামায়াতে ইসলামী অংশ নেবে। আশা করি জামায়াত নিবন্ধন ফিরে পাবে। আর দুই মাসের মধ্যে প্রস্তুত করতে পারবো। আমাদের প্রধান আইনজীবী সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী। এছাড়াও ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক ও এহসান সিদ্দিক আইনজীবী হিসেবে নিযুক্ত আছেন। তারা এই মামলাটি পরিচালনা করবেন।


একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের জারি করা রুলের চূড়ান্ত রায়ে জামায়াতকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন ২০১৩ সালের ১ আগস্ট অবৈধ বলে রায় দেন বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর (লার্জার) বেঞ্চ।


সে সময় সংক্ষিপ্ত রায়ে আদালত বলেন, এ নিবন্ধন দেওয়া আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত। একইসঙ্গে আদালত জামায়াতকে আপিল করারও অনুমোদন দিয়ে দেন।


তবে এ রায়ের স্থগিতাদেশ চেয়ে জামায়াতের করা আবেদন একই বছরের ৫ আগস্ট খারিজ করে দেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী।


পরে একই বছরের ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আপিল করে।


২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি জারি করা হাইকোর্টের রুলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভুত এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০বি (১) (বি) (২) ও ৯০ (সি) অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়।


২০১৩ সালের ১২ জুন ওই রুলের শুনানি শেষ হলে যেকোনো দিন রায় দেবেন বলে জানিয়ে অপেক্ষমান (সিএভি) রাখেন হাইকোর্টের বৃহত্তর (লার্জার) বেঞ্চ। পরে ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট।


বিবার্তা/কেআর

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com