শিরোনাম
ফের মির্জা আব্বাসের দুর্নীতি মামলার রায় পেছাল
প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৮
ফের মির্জা আব্বাসের দুর্নীতি মামলার রায় পেছাল
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

১৬ বছর আগের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের রায় ফের পিছিয়েছেন আদালত। আগামী ২৪ জানুয়ারি এ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।


বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম রায় ঘোষণার এ দিন ধার্য করেন।


এর আগে গত ২২ নভেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক ওইদিন ঘোষণা করতে পারেননি। পরে রায় ঘোষণার জন্য ১২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন। তবে সেদিনও রায় ঘোষণা করা হয়নি। পরবর্তীতে আজ বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়। তবে এদিন তৃতীয়বারের মতো রায় ঘোষণার তারিখ পেছানো হলো।


এ মামলায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে বলে আগেই দাবি করেছে দুদক। যার কারণে সংস্থাটি বিএনপির এ নেতার সর্বোচ্চ শাস্তি ১৩ বছরের কারাদণ্ড প্রত্যাশা করেছে। একই সঙ্গে তার সম্পদ বাজেয়াপ্তের প্রত্যাশাও দুদকের।


অপরদিকে মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরীর দাবি, দুদকের আনা অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। দুদক অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে এবং রায়ে মির্জা আব্বাস খালাস পাবেন।


মামলার নথি থেকে যা জানা গেছে, বিগত ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর রমনা থানায় চারদলীয় জোট সরকারের সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন দুদক উপ-পরিচালক মো. শফিউল আলম। মামলায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন সাত কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।


তদন্তে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে চার কোটি ২৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ১৬ জুন আদালত এ মামলার দুদক আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিচার চলাকালীন আদালত ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।


এ মামলায় মির্জা আব্বাসসহ পাঁচজন সাফাই সাক্ষ্য দেন। তাদের মধ্যে অন্য চারজন হলেন- অ্যাডভোকেট এ কে এম শাহজাহান ও এনআরবি ব্যাংকের চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট নুরুল হোসেন খান, শাহজাহান মিয়া ও কাজী শিফাউর রহমান হিমেল।


উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে হওয়া একাধিক মামলায় আসামি করা হয়েছে বিএনপির এ নেতাকে।


গত ২৯ অক্টোবর রাজধানীর শাহজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মির্জা আব্বাসকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন। মামলায় ৪৯ জনের নাম উল্লেখসহ ৭০০/৮০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। ৩১ অক্টোবর তাকে গ্রেফতার করা হয়।


এ মামলায় গত ১ নভেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন মির্জা আব্বাসের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।


বিবার্তা/মাসুম

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com