শিরোনাম
সাক্ষাতকার
আমি অনেক খিদা নিয়ে কাজ করি: রাসেল টি আহমেদ
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২২, ১১:৫৭
আমি অনেক খিদা নিয়ে কাজ করি: রাসেল টি আহমেদ
উজ্জ্বল এ গমেজ
প্রিন্ট অ-অ+

আমরা অনেক কিছু করতে চাই, কিন্তু এই দুই বছরে কতটুকু করতে পারবো। সেটাই আমাদের সামনে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। কাজ করার ইচ্ছে আছে। আগ্রহ আছে। ভাল কাজ করার খিদা আছে। আমি অনেক খিদা নিয়ে কাজ করি। এই সময়ে ১০টার মধ্যে কয়টা দিতে পারবো, বা ২০টার মধ্যে কয়টা দিতে পারবো সেটাও একটা চ্যালেঞ্জ। নির্বাচনের সময়ে ইশতেহারে যেসব কাজ করার ঘোষণা দিয়েছি, সেগুলো যেন সময় মতো সম্পন্ন করতে পারি। এটাই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা সব সময় লক্ষ্য অর্জন ও পারফরমেন্সের দিকেই ফোকাসটা রাখতে চাই।


সম্প্রতি রাজধানীর কারওয়ান বাজারস্থ বিডিবিএল ভবনে বেসিসের প্রধান কার্যালয়ে বিবার্তার সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন বেসিসের নব নির্বাচিত সভাপতি এবং ক্লাসটিউনের প্রধান নির্বাহী রাসেল টি আহমেদ।


গত বছরে ২৬ ডিসেম্বর দেশের সফটওয়্যার খাতের অন্যতম শীর্ষ বাণিজ্যিক সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোটে নির্বাচিত হয়ে দুই বছরের জন্য এই দায়িত্ব পেয়েছেন ক্লাসটিউনের প্রধান এই নির্বাহী।


তিনি ২০১২-২০১৪ মেয়াদে বেসিসের মহাসচিব এবং ২০১৪-২০১৬ ও ২০১৬-২০১৮ মেয়াদে জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি তথ্যপ্রযুক্তি সংগঠন এশিয়া প্যাসিফিক আইসিটি অ্যালায়েন্সের (অ্যাপিকটা) মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারপারসন নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৮-২০০৯ মেয়াদে আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) মহাসচিব ছিলেন।


বিবার্তার সাথে একান্ত আলাপে তিনি জানালেন নতুন সভাপতি হিসেবে মেয়াদকে নিয়ে কর্মপরিকল্পনা, সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান অবস্থা, এই সেক্টর বিকাশে চ্যালেঞ্জসমূহ, সেক্টরকে এগিয়ে নিতে পরিকল্পনা, সেক্টর বিকাশে পরামর্শসহ সমসাময়িক নানান বিষয়। বেসিসের নতুন সভাপতি রাসেল টি আহমেদের সাথে দীর্ঘ আলাপের চুম্বক অংশ বিবার্তার পাঠকদের জন্য এখানে তুলে ধরা হলো।



বিবার্তা: আপনার দৃষ্টিতে সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান অবস্থা কেমন?


রাসেল টি আহমেদ: সার্বিক দিক বিবেচনা করলে দেখা যায় বর্তমানে সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা ভালো। গত পাঁচ বছরে যে উন্নতি হয়েছে তাতে বলবো বেশ ভালই উন্নতি হয়েছে। সাথে সাথে আমি এটাও বলবো যে, এটা আরো অনেক বেশি বড় হওয়ার কথা ছিল বা প্রয়োজন ছিল। এটা আরো বেশি বড় হতে পারতো। সে জায়গাটাতে আমাদের একত্রে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। তবে হ্যাঁ, বৈশ্বিক মহামারি করোনার ফলে আমাদের সফটওয়্যার ব্যবসায়ীদের একটা বাজে সময় পার করতে হয়েছে। আবার একই সাথে করোনা অনেকের ব্যবসা বড় করে দিয়েছে। সব কিছু মিলিয়ে আমার মনে হয় এই জায়গাটা থেকে যদি আমরা যদি ইন্ডাস্ট্রিকে আরো বড় করতে চাই। তাহলে আমাদের এক সাথে কাজ করতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের যে সরকার আছে তিনি সব সময় খুব প্রো-অ্যাক্টিভ। প্রো-অ্যাক্টিভ হয়েই আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকে অনেক কিছু দিতে চাচ্ছে। আমরা অনেক সময় হয়তো এই সুযোগগুলো যথাযথভাবে সদ্ব্যবহার করতে পারি নাই। এবার আমরা চিন্তা করছি যে, ওই কাজগুলির জন্য যদি পলিসি সাপোর্টগুলি হয়ে যায় তাহলে এই ইন্ডাস্ট্রি বড় করা সম্ভব। এর ফলে বেসিসের সব সদস্যরা উপকৃত হবে বলে আমার বিশ্বাস।


আমরা দুধরনের মার্কেটে কাজ করি। দেশীয় বাজার এবং আন্তর্জাতিক বাজার। দুই বাজারেই পলিসি সহায়তা বলেন কিংবা ব্যবসার সহায়তা বলেন দুই ধরনের সহায়তা লাগে। আমাদের দুই ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়। এই জিনিসগুলি যথাযথভাবে তুলে ধরে খুব অ্যাক্টিভলি যদি কাজ করা যায় তাহলে অবশ্যই সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।


বিবার্তা: সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি বিকাশে চ্যালেঞ্জগুলো কী কী?


রাসেল টি আহমেদ: আমাদের সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি বিকাশে চ্যালেঞ্জগুলোকে আমি এভাবে দেখি। আমাদের অনেক দক্ষ জনশক্তি আছে। কিন্তু এই দক্ষ জনশক্তির পরিমাণটা আরো বাড়াতে হবে। যেমন প্রতিবছর আমরা ইন্ডাস্ট্রিতে ১০০ জন সফটওয়্যার ডেভেলপার পাই। আমরা যেভাবে ভাল মানের কাজ করতে চাই সেখানে আমাদের ১০০০ ভাল মানের সফটওয়্যার ডেভেলপার লাগবে। তাই দক্ষ জনশক্তি সব সময়ই একটা চ্যালেঞ্জ। সেজন্য একাডেমির সাথে এবং আমাদের মধ্যে যারা ইন্টারমিডেটরি ট্রেনিংগুলি অফার করি। যেমন, পড়াশোনা শেষ করার পরে চাকরিতে যাওয়ার আগে আমরা যে স্পেসিফিক ট্রেনিংগুলি অফার করি, আমরা বিআইটিএম থেকে অফার করি। সেইসাথে আরো অনেকে অনেক জায়গা থেকে অফার করেন। এই কাজগুলি বাড়াতে হবে। একইসাথে আমরা যদি একাডেমির সাথে কথা বলে একটা মেলবন্ধন করতে পারি তাহলে দেখা যাবে একাডেমির সাথে ইন্ডাস্ট্রির গ্যাবটা আস্তে আস্তে কমে আসবে। তাহলে আমরাও ভালো মতো সবকিছু পারফর্ম করতে পারবো। ইন্ডাস্ট্রি বিকাশে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা একটা বড় বিষয়। আমার মনে হয় এই বিষয়গুলি ভাল করে সবার কাছে তুলে ধরতে পারলে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিটা অনেক বড় হবে।



বিবার্তা: এই সেক্টরকে এগিয়ে নিতে আপনার পরিকল্পনা কী?


রাসেল টি আহমেদ: সফটওয়্যা ইন্ডাস্ট্রি এগিয়ে নিতে বাজার সম্প্রসারণের কোনো বিকল্প নেই। সেটা দেশি বা বিদেশি হোক। আমরা ইন্ডাস্ট্রি ব্র্যান্ডিং, ম্যাচমেকিং করতে চাই। প্রয়োজনে সম্ভাবনাময় দেশগুলোতে রোড-শো করা হবে। কিছু দেশ টার্গেট করে এগুবো। এরই মধ্যে জাপান ডেস্ক খোলা হয়েছে। আফ্রিকার দেশগুলোতে ডেস্ক খোলা যায় কিনা সেটা নিয়ে পরিকল্পনা করবো। বাজার সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ফরেন মিশন অফিসের সহযোগিতা নেবো। বেসিসের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বিআইটিএমকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। এখানে সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ নিয়ে যেন দক্ষ কর্মী তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে আমাদের নজর দিতে হবে।


বিবার্তা: সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি বিকাশে আপনার পরামর্শ জানতে চাই।


রাসেল টি আহমেদ: আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলবো যেকোনো ইন্ডাস্ট্রি বিকাশে বিশেষ ভাবে যেটি ভূমিকা রাখে সেটি হলো দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা। এর কোনো বিকল্প নেই। যেটি আমি আগের প্রশ্নের উত্তরে উল্লেখ করেছি। আরেকটি বড় বিষয় হলো, নতুন মার্কেট তৈরি করা। আমাদের প্রতিষ্ঠানের ব্যবসার জন্য আন্তর্জাতিক মার্কেটে কাজ করতে হয়। আমাদের অধিকাংশ রেভিনিউ আসে আন্তর্জাতিক মার্কেট থেকে। মেজর রেভিনিউ আসে আমেরিকা, এরপর আসে ইউরোপ থেকে। তারপর এশিয়ার মধ্যে আসে জাপান থেকে। এখন আমরা যদি কিছু নতুন মার্কেট তৈরি করতে পারি তাহলে মার্কেট সম্প্রসারণ হবে। আর মার্কেট সম্প্রসারণ হওয়া মানে ব্যবসা বড় হওয়া। তার মানে ইন্ডাস্ট্রি বড় হওয়া। ওই জায়গাটাতে আমাদের মানোযোগ দিতে হবে।


আর যে বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেটি হলো, আমাদের ইন্ডাস্ট্রির জন্য ব্র্যান্ডিং প্রয়োজন আছে। সেই জায়গাটাতে আমাদের মনোযোগ দিতে হবে। আমাদের দেশীয় বাজারেও অনেক সময় দেখা যায় দেশীয় সফটওয়্যার কেনার সময় ক্রেতা আস্থা পায় না। ক্রেতার আস্থার জায়গা নিয়ে ব্র্যান্ডিং বলেন বা ক্রেতার সচেতনতা বলেন এসব জায়গায় আমাদের কাজ করতে হবে। এসব জায়গায় আমাদের বিশেষ ভাবে মনোযোগ দিয়ে কাজ করলে ইন্ডাস্ট্রি সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।



বিবার্তা: প্রাণের সংগঠনের নতুন পদে, বড় দায়িত্বে। অনুভূতি কেমন?


রাসেল টি আহমেদ: বেসিসের কার্যনির্বাহী কমিটিতে আগেও দায়িত্ব পেয়েছি। সেগুলি সফলভাবে পালনও করেছি। মহাসচিব, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতির মতো বড় দায়িত্ব। তবে এবার এর থকেও আরো মহান দায়িত্ব। বেসিসের প্রাজ্ঞ সদস্যরা আমাকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। এটা অবশ্যই আনন্দের। খুশি ও কৃতজ্ঞতার মিশ্র অনুভূতি মনে কাজ করছে। আমি সকল সদস্যের ভালোবাসায় সিক্ত এবং আপ্লুত। বিশাল দায়িত্ব নিয়েছি। এখন সংগঠনের সদস্যদের জন্য যেন ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে পারি, ট্রেডবডি হিসেবে এটাকে যেন আরো শক্তিশালী করতে পারি এটাই আমার একমাত্র চাওয়া। আমরা সর্বোচ্চটুকু দিতে চাই। আমাদের কাজ করার আগ্রহ আছে, সেটা ধরে রাখতে চাই। আমাদের সক্ষমতা আছে। সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চাই এবং কমিটেড থাকতে চাই।


বিবার্তা: নতুন মেয়াদকে নিয়ে আপনার কর্মপরিকল্পনা জানতে চাই।


রাসেল টি আহমেদ: আমরা টপ-টেন পলিসি ঘোষণা করেছি। ট্যাক্স হলিডের মেয়াদ বাড়ানো, আয়কর সার্টিফিকেট পেতে বিলম্ব কমানোর উদ্যোগ, রফতানি প্রণোদনা (১০ শতাংশ) পেতে যে ৯০-১০০ দিন লেগে যায়, সেটা ৩০ দিনে আনার চেষ্টা করার মতো কিছু প্রায়োরিটি সেট করেছি। আপাতত এটাই পরিকল্পনা।


এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছি। বেসিসের সঙ্গে সদস্যদের দূরত্ব হয়েছে। সেটা কমানোর চেষ্টা করবো। সদস্যদের মধ্যকার দূরত্ব কমানো ও তাদের কথাবার্তা শোনার কাজ এরই মধ্যে শুরু করেছি। কয়েকটি শক্তিশালী কমিটি করেছি। বিশেষায়িত কমিটিগুলো কাজ শুরু করেছে। নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে নিয়মিতভাবে কাজ করা হবে।


দুই বছরের মেয়াদে সাতশ’ দিনের কিছু বেশি পাবো। পুরো সময়কে সাত ভাগে ভাগ করে একশ’ দিনের কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। একশ’ দিন শেষ হলে পরবর্তী একশ’ দিনের কার্যক্রম হাতে নেয়া হবে। মূলত জবাবদিহির জন্যই এভাবে কাজ করা হচ্ছে। আমরা বেসিস সদস্যদের কাছে আমাদের কাজের জবাবদিহি করতে চাই।



বিবার্তা: নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির সামনে চ্যালেঞ্জগুলো কী হতে পারে বলে মনে করেন?


রাসেল টি আহমেদ: নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর আমি ব্যক্তিগতভাবে যে জিনিসটা উপলব্ধি করেছি সেটি হলো, নতুন কমিটির কাছে সদস্যদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। এটা আমাদের জন্য বড় একটা চ্যালেঞ্জ ও দায়িত্ববোধের জায়গা। আমরাও এই চ্যালেঞ্জ ও দায়িত্ববোধ নিয়ে পরিপূর্ণভাবে কাজ করতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি, যাদের কাছ থেকে, যার যার কাছ থেকে যে লেভেলের সহায়তার প্রয়োজন হবে ইন্ডাস্ট্রির ভেতরে হোক বা বাইরে হোক, সে সহায়তা সময় মতো পাওয়াটাই হলো গুরুত্বপূর্ণ। সেগুলো যদি আমরা পাই, তাহলে দুই বছর তো অল্প সময়। এ সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চটুকু দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করবো। আমরা যা করবো সবই তো ভিজিবল থাকবে। তখন সবাই তা দেখতে পারবে। আমাদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চটা দিয়ে ইন্ডাস্ট্রির সব কিছু সুন্দর মতো সম্পন্ন করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।


আমরা অনেক কিছু করতে চাই, কিন্তু এই দুই বছরে কতটুকু করতে পারবো। সেটাই আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হবে। আমার কাজ করার ইচ্ছে আছে, আগ্রহ আছে, ভাল কাজ করার খিদা আছে। আমি অনেক খিদা নিয়ে কাজ করি। এখন এই দুই বছরে ১০টার মধ্যে কয়টা দিতে পারবো, বা ২০টার মধ্যে কয়টা দিতে পারবো সেটা একটা চ্যালেঞ্জ। নির্বাচনের সময়ে ইশতেহারে যেসব কাজ করার ঘোষণা দিয়েছি সেগুলোই যেন সময় মতো সম্পন্ন করতে পারি। এটাই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। লক্ষ্য অর্জন ও পারফরমেন্সের দিকেই ফোকাসটা রাখতে চাই।


বিবার্তা: প্রধানমন্ত্রী ২০২২ সালের জন্য আইসিটি পণ্য ও সেবাকে বর্ষপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন। বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন? আপনাদের ভূমিকা কী হবে?


রাসেল টি আহমেদ: প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ২০২২ সালের জন্য আইসিটি পণ্য ও সেবাকে বর্ষপণ্য ঘোষণার সফল বাস্তবায়নে এবং এই ঘোষণার মর্যাদা ধরে রাখতে আমরা সক্রিয়ভাবে কাজ করতে চাই এ বছর। এছাড়াও এই ঘোষণার সফল বাস্তবায়নে আমাদের নতুন বাজার তৈরি, আইসিটি পণ্য ও সেবাপণ্যের গুণগতমান নিশ্চিত করা, সঠিক ব্র্যান্ডিং করা, মানবসম্পদ তৈরি করতে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে।



বিবার্তা: মেয়াদ শেষে বা দুই বছর পর বেসিসকে কোন স্তরে দেখতে চান?


রাসেল টি আহমেদ: বেসিসের সুমহান ঐতিহ্যকে সমুন্নত রেখে দেশের সফটওয়্যার ও আইটি খাতকে এগিয়ে নিতে আমরা নতুন কমিটির সবাই একসঙ্গে কাজ করবো। আমরা বিশ্বাস করি, বেসিসের প্রত্যেকজন সদস্যই সমানভাবে এই খাতের উন্নয়নের অংশীদার। প্রত্যেক সদস্যের উন্নয়ন মানেই এই খাতের উন্নয়ন। আমরা বিভেদ নয়, সংযুক্তিতে বিশ্বাসী। পারস্পরিক মূল্যবোধ, সচেতনতা, শ্রদ্ধাবোধ, নলেজ শেয়ারিং এবং সর্বোপরি সকল সদস্যের সম অধিকার নিশ্চিত করে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে চলাই আমাদের মূল লক্ষ্য। নতুন উদ্যম এবং নতুন প্রত্যয় নিয়ে বেসিস এবং আইসিটি শিল্পকে সামনের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আমাদের নতুন কার্যনির্হী পরিষদের প্রত্যেকজন সদস্য সংকল্পবদ্ধ। বেসিস ব্র্যান্ড তথা বেসিসের পতাকাকে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সুউচ্চ মর্যাদায় তুলে ধরতে সম্মিলিতভাবে সর্বাত্মক ভূমিকা রাখার চেষ্টা করবো।


আর যদি বলেন যে, মেয়াদ শেষে বেসিসকে কোথায় দেখতে চান তাহলে বলবো, মেয়াদ শেষে বেসিসকে একটা সদস্য বান্ধব অর্গানাইজেশন হিসেবে দেখতে চাই। আমরা যে ১০০ দিনের কার্যক্রমের ঘোষণা দিয়েছি সেগুলো ১০০ দিনের মধ্যেই শেষ করেছি বলে দেখতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ২০২২ সালের জন্য আইসিটি পণ্য ও সেবাকে বর্ষপণ্য ঘোষণার সফল বাস্তবায়ন দেখতে চাই। আমাদের সময়টাতে যতদূর সম্ভব প্রত্যেকজন সদস্যদের তাদের ব্যবসার উন্নয়নে যে পলিসিগুলি আমরা চিন্তা করেছি আমাদের পরিকল্পনায় আছে সেগুলি বাস্তবায়ন করতে চাই। সেগুলি বাস্তবায়ন হলে বেসিসের ইমেজ আরো কয়েক ধাপ উপরে ওঠবে। সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রির পরিধি আরো বড় হবে। সে জায়গাগুলিতে আমরা কাজ করতে চাই। আমরা নির্বাচনী ইশতেহারে যে কমিটমেন্টগুলি করেছি সেগুলি সম্পূর্ণরূপে সম্পন্ন করে যেতে চাই। ইতোমধ্যেই বেসিস একটা ভাল অবস্থানে আছে। বেসিসের গ্রহণযোগ্যতার লেভেলটাকে আরো কয়েকগুণ উপরে নিয়ে যেতে চাই। সেভাবে তৈরি করে রেখে যেতে চাই।


বিবার্তা/গমেজ/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com