শিরোনাম
মহাকাশে আরও গুপ্তচর স্যাটেলাইট পাঠাবে উ. কোরিয়া
প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭:৩৫
মহাকাশে আরও গুপ্তচর স্যাটেলাইট পাঠাবে উ. কোরিয়া
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

যুক্তরাষ্ট্রের গৃহীত পদক্ষেপের কারণে কোরিয়া উপদ্বীপে যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে উঠছে। এ কারণে মহাকাশে আরও গুপ্তচর পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। শত্রু দেশের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে নতুন বছরে আরও তিনটি গুপ্তচর স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পাশাপাশি ২০২৪ সালে সামরিক ড্রোন নির্মাণ ও পারমাণবিক অস্ত্রের পরিমাণ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে দেশটি।


শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) পাঁচ দিনব্যাপী ক্ষমতাসীন দলের সম্মেলনের সমাপনী দিনের বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন উত্তরের প্রেসিডেন্ট কিম জং উন।


পুরাতন বছরকে বিদায় জানাতে উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির অষ্টম কেন্দ্রীয় কমিটির নবম পূর্ণাঙ্গ সভা গত মঙ্গলবার শুরু হয়। ক্ষমতাসীন দল ও সরকারি কর্মকর্তাদের পাঁচ দিনব্যাপী এই সমাবেশ থেকে দেশের মূল নীতিমালা ঘোষণা করা হয়। যদিও আগে নববর্ষের দিনে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থায় কিমের বক্তব্য প্রকাশ করা হতো।


গেলো মাসেই পিয়ংইয়ং মহাকাশে একটি গুপ্তচর স্যাটেলাইট স্থাপন করেছে। দেশটির কর্তারা দাবি করেছেন তাদের এই স্যাটেলাইট যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধান সামরিক স্থাপনাগুলো ছবি তুলেছে। দেশটির নেতা কিম জং উন হুশিয়ারী দিয়েছেন, ২০২৪ সালে দক্ষিণের সঙ্গে সম্পর্কে মৌলিক পরিবর্তন দেখা যাবে।


সেই সঙ্গে রকেট মানব হিসাবে খ্যাত উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট আরও হুশিয়রী দিয়ে বলেন, পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া ছাড়া তার আর কোনও বিকল্প নেই। তিনি মনে করেন, আমেরিকার এবং তাদের দুই মিত্র জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া তার দেশের জন্য বড় ধরনের হুমকি।


উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির বছরের শেষের বৈঠকে বক্তৃতা করার সময় কিম বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে একীকরণ এখন আর সম্ভব নয়। কারণ, সিউল তার দেশকে শত্রু হিসেবে বিবেচনা করে। বলার অপেক্ষা রাখে না, দক্ষিণ নিয়ে এমন ধরনের কথা এই প্রথমবার বললেন উত্তরের নেতা।


দুই কোরিয়ার একীভূত করার জন্য অনেক ধরনের প্রচেষ্টা নেয়া হলেও, কোন উদ্যেগই এগিয়ে নেয়া যায়নি। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরাও মনে করেন, এই দুই দেশের এক হওয়ার সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। তবে, উত্তরের ঘোষণায় মনে হচ্ছে, দক্ষিণের সাথে সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে ভাবছে পিয়ংইয়ং।


দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ অবস্থায় রয়েছে। গত মাসে, স্পাই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর, পিয়ংইয়ং সিউলের সাথে সামরিক উত্তেজনা কমানোর একটি চুক্তি ছিঁড়ে ফেলে। বছর জুড়ে ক্ষেপণাস্ত্রের নিয়মিত পরীক্ষা চালিয়েছে। ডিসেম্বরের শুরুতে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেছে উন্নত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে।


রবিবার দলীয় সভায় বক্তৃতার সময় কিম তীব্র ভাষায় আমেরিকার সমালোচনা করে বলেন, আমাদের দেশে আক্রমণ করার জন্য শত্রুদের বেপরোয়া পদক্ষেপের কারণে কোরীয় উপদ্বীপে যে কোনও সময় যুদ্ধ শুরু হতে পারে। এরিমধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি ও পারমাণবিক অস্ত্রাগারে পরিণত হয়েছে।


কিম আরও বলেন, যদি আমরা শত্রু বাহিনীর সংঘর্ষমূলক সামরিক পদক্ষেপগুলো ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করি তাহলে ‘যুদ্ধ’ শব্দটি বাস্তবসম্মত হয়ে উঠেছে। এটিউ বাস্তবতা, একটি বিমূর্ত ধারণা নয়। তাই ২০২৪ সালে, পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করা এবং ড্রোন নির্মাণসহ আরও সামরিক উন্নয়ন হবে।


উত্তর কোরীয় নেতা আরও বলেন, আমাদের অবশ্যই একটি সম্ভাব্য পারমাণবিক হুমকির দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে এবং জরুরি পরিস্থিতিতে পারমাণবিক শক্তিসহ সব বাহিনীকে একত্রিত করে দক্ষিণ কোরিয়ার সমগ্র ভূখণ্ডকে শান্ত করার প্রস্তুতি ত্বরান্বিত করতে হবে।


বিবার্তা/লিমন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com