
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
১০ ডিসেম্বর, রবিবার তাদের মধ্যে চলমান যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হয়।
রুশ বার্তাসংস্থা তাস নিউজ জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, রাশিয়া সন্ত্রাসবাদের নিন্দা জানায়। কিন্তু ইসরায়েলের আগ্রাসনের কারণে ‘গাজায় বেসামরিক মানুষ যে মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে’ সেটি তারা মেনে নিতে পারেন না।
গাজায় মানবিক বিপর্যয় নিয়েই মূলত নেতানিয়াহুর সঙ্গে পুতিনের আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে তাসের ওই প্রতিবেদনে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ থামাতে এবং বেসামরিক মানুষের দুর্দশা নিরসনে রাশিয়া সবধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছে। এ ছাড়া গাজায় আটকে থাকা রাশিয়ান নাগরিকদের ফিরিয়ে আনা এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন পুতিন।
অপরদিকে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল দুই নেতার টেলিফোন আলাপ নিয়ে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পুতিনকে বলেছেন, জাতিসংঘের রুশ দূত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যে অবস্থান নিয়েছেন এতে তারা (ইসরায়েল) খুশি নন।
এছাড়া ইরানের সঙ্গে রাশিয়া যে গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলছে সে বিষয়টি নিয়েও ইসরায়েল নাখোশ বলে পুতিনকে জানিয়েছেন নেতানিয়াহু।
গাজায় নির্বিচার হামলার পক্ষে সাফাই গেয়ে নেতানিয়াহু পুতিনকে বলেছেন, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাস যে হামলা চালিয়েছে, সেটি যদি অন্য কোনো দেশে হতো, তারাও একই প্রতিক্রিয়া দেখাত।
এদিকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর গত দুই মাসের আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন অন্তত ১৭ হাজার ৭০০ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও ৪৮ হাজার ৭৮০ জন।
হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কিদরা রোববার বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতিতে অতর্কিত হামলা চালানোর পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ২৮ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় ইসরায়েলের স্থল বাহিনীও।
ইসরায়েলি বাহিনীর দুই মাসের হামলায় কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ১৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহত এই ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা ১২ হাজারেরও বেশি।
অন্যদিকে, হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। পাশাপাশি, ইসরায়েলের ভূখণ্ড থেকে ২৪২ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের ধরে নিয়ে গিয়েছিল হামাস যোদ্ধারা।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]