শিরোনাম
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেফতার নিউজক্লিকের সাংবাদিক প্রবীর পুরকায়স্থ
প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ১৮:১০
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেফতার নিউজক্লিকের সাংবাদিক প্রবীর পুরকায়স্থ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ভারতীয় নিউজপোর্টাল নিউজক্লিকের প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক প্রবীর পুরকায়স্থকে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ও অবৈধ কার্যকলাপ দমন আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাংবাদিক প্রবীর ছাড়াও এই নিউজ পোর্টালের এইচআর বিভাগের প্রধান অমিত চক্রবর্তীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।


নিউজ পোর্টালটি বেইজিংয়ের অর্থায়নে চীনা প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে- নিউইয়র্ক টাইমসের এমন প্রতিবেদনের কয়েক দিন পর মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দিল্লি পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।


তাদের গ্রেফতারের আগে দিনের শুরুতে দিল্লি ও মুম্বাইয়ের ২০ জায়গায় নিউজক্লিকের সঙ্গে যুক্ত সাংবাদিকদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালায় পুলিশ। এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে দেশটির বিরোধীদলীয় নেতারা। তারা বলছেন, এটি দেশের স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের ওপর দমন-পীড়ন।


দিল্লি পুলিশের একটি সূত্রের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, মোট ৩৭জন পুরুষ ও ৯ জন নারীকে জেরা করা হয়েছে। বেশ কছু নথিপত্র ও ডিজিটাল ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দুই জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তের কাজ চলছে।


সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির বাড়িতেও পুলিশ গিয়েছিল। সীতারাম জানিয়েছেন, তার বাড়িতে সিপিএমের এক কর্মী থাকেন। তার ছেলে নিউজক্লিকের সাংবাদিক। তাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তার মোবাইল ও ল্যাপটপ নিয়ে গেছে।


দিল্লি পুলিশের দাবি, নিউজক্লিক বিভিন্ন জায়গা থেকে ৩৮ কোটি টাকা পেয়েছে বলে অভিযোগ। ওই সব সংস্থার সঙ্গে চীনের যোগ আছে এবং ওই টাকা ওয়েবসাইটে চীনের পক্ষে প্রচার চালাবার জন্য দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।


পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ২৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে ফি হিসাবে এবং নয় কোটি টাকা শেয়ারের দাম বাড়িয়ে পেয়েছে নিউজক্লিক। ওই অর্থের একটা অংশ তিস্তা শীতলওয়াড় ও গৌতম নওলাখাকেও দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ।


কয়েকদিন আগে নিউ ইয়র্ক টাইমসের তদন্তকারী প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, একটি নিউজ পোর্টাল চীনের প্রোপাগান্ডা দেখে এমন একটি সংস্থার কাছ থেকে টাকা পেয়েছে।


দিল্লি পুলিশের তল্লাশির কয়েকঘণ্টা পরেই এডিটার্স গিল্ড বলেছে, কেন্দ্রীয় সরকার যেন ঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে। সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখানোর জন্য কোনো ফৌজদারি আইনকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার না করা হয়।


বলা হয়েছে, গোটা ঘটনায় এডিটার্স গিল্ড খুবই উদ্বিগ্ন। এটা সংবাদমাধ্যমকে দমিয়ে রাখার আরেকটি উদাহরণ। আমরাও মনে করি, যদি সত্যিই কোনো অপরাধ সংঘটিত হয়, তাহলে আইন তার নিজের পথে চলবে। কিন্তু তার জন্য ঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা উচিত। এই ক্ষেত্রে এমন কোনো বার্তা যাওয়া উচিত নয় যে, সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, সমালোচকদের মুখ বন্ধ করা হচ্ছে বা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ হচ্ছে।


বিবার্তা/লিমন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com