
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি দেখল পাকিস্তান। এ বছরের মে মাসে দেশটির ভোক্তা মূল্যসূচক ৩৮% ছুঁয়েছে। যা পুরো উপমহাদেশের সর্বোচ্চ। আগের মাসে এটি ছিল ৩৬.৪%।
অফিসিয়াল মাসিক মুদ্রাস্ফীতি বুলেটিনে বলা হয়েছে, গত বছরের মে মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ১৩.৭৬ শতাংশ। উল্লেখযোগ্যভাবে, আগের মাসের তুলনায় ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) ১.৫%বৃদ্ধি পেয়েছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, পাকিস্তানের মূল্যস্ফীতি বর্তমানে সবচেয়ে ভয়াবহ পর্যায়ে রয়েছে। প্রতিটি পণ্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। আর এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমছে জনগণের ক্রয়ক্ষমতা।
পাকিস্তানের পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানের শহরের চেয়ে গ্রামে মুদ্রাস্ফীতি বেশি বেড়েছে। শহরাঞ্চল ও গ্রামাঞ্চলে মুদ্রাস্ফীতি যথাক্রমে ৩২.৯৭ শতাংশ এবং ৩৮.৮৮ শতাংশ বেড়েছে।
অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন, এ বছরে পাকিস্তানের মূল্যস্ফীতি ৫০ বা তার বেশির ঘরে যেতে পারে।
তবে মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে এমনটা আগেই জানিয়েছিল পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, আইএমএফ থেকে তহবিল পেতে দ্বিতীয় দফায় জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিহার এবং ডলারের বিপরীতে রুপির অবমূল্যায়নের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কারণে মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে পারে। এ ছাড়া মুদ্রাস্ফীতি প্রশমনে অকার্যকর নীতিগত ব্যবস্থা এবং কর্তৃপক্ষের অসহায়ত্বের কথাও স্বীকার করেছে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শাখা।
বিবার্তা/লিমন/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]