স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, প্রতি বছর তামাকের কারণে দেড় লাখ মানুষ মারা যাচ্ছে। তামাক নিয়ে যারা কাজ করবে তাদের সঙ্গে কোনো রকম সম্পর্ক রাখা হবে না। এজন্য যেকোনো মূল্যে আগামী ২০৪০ সালের মধ্যেই দেশ থেকে তামাক পুরোপুরি নির্মূল করতে হবে।
১১ জুন, রবিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল (এনটিসিসি), স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছর তামাকের কারণে দেড় লাখ মানুষ মারা যাচ্ছে। তামাক থেকে সরকার যে রেভেনিউ পায় তার থেকে বেশি ক্ষতি হয়ে যায় চিকিৎসা ব্যয়সহ অন্যান্য ব্যয় মেটাতেই। এজন্য যেকোনো মূল্যে আগামী ২০৪০ সালের মধ্যেই দেশ থেকে তামাক পুরোপুরি নির্মূল করতে হবে। দেশে বর্তমানে মোট মৃত্যুর ৭০ শতাংশই ঘটে অসংক্রমক রোগের কারণে। আর এ অসংক্রামক রোগের অন্যতম একটি বাহক হচ্ছে তামাকের ব্যবহার।
সভায় বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে প্রশংসনীয় অবদানের স্বীকৃতস্বরূপ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এ বছর ৯টি ক্যাটাগরিতে সর্বমোট ১০টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে তামাক নিয়ন্ত্রণে জাতীয় সম্মাননা ২০২৩ প্রদান করা হয়।
‘সরকারি প্রতিষ্ঠান’ ক্যাটাগরিতে রেলপথ মন্ত্রণালয়, ‘জেলা টাস্কফোর্স কমিটি’ ক্যাটাগরিতে খুলনা টাস্কফোর্স কমিটি, ‘উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটি’ ক্যাটাগরিতে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবন নগর উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটি, ‘শ্রেষ্ঠ মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী কর্মকর্তা’ ক্যাটাগরিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিবুল ইসলাম, ‘কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা’ ক্যাটাগরিতে যথাক্রমে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর তারিকুল ইসলাম ও মো. আল আমিন রহমান, ‘স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান’ ক্যাটাগরিতে ঝিনাইদহ পৌরসভা, ‘বেসরকারি সংস্থা’ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং, ‘সাংবাদিক (প্রিন্ট মিডিয়া)’ ক্যাটাগরিতে এহসানুল হক জসীম এবং ‘সাংবাদিক (ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া)’ ক্যাটাগরিতে সুশান্ত সিনহা তামাক নিয়ন্ত্রণে জাতীয় সম্মাননা-২০২৩ অর্জন করেন।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে পরিচালিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত সচিব মো. সাইদুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনটিসিসির সমন্বয়কারী ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হোসেন আলী খোন্দকার। এছাড়াও বক্তব্য দেন সংসদীয় কমিটির প্রতিনিধি সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাত, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবীর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি বার্দান জং রানা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের পরিচালক, ঢাকা সিভিল সার্জন অফিস, নার্স/ মিডওয়াইফ, বাংলাদেশ স্কাউটস, গার্ল গাইডস এবং তামাক বিরোধী বেসরকারি সংগঠনের প্রতিনিধিসহ অনেকে এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
বিবার্তা/রিয়াদ/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]