থাইরয়েড হলো গলার দুই পাশে থাকা একটি বিশেষ গ্রন্থি। এই গ্রন্থির কাজ হলো আমাদের শরীরের কিছু অত্যাবশ্যকীয় হরমোন (থাইরয়েড হরমোন) উৎপাদন করা। শরীরের জন্য এ থাইরয়েড হরমোনের একটি নির্দিষ্ট মাত্রা আছে। নির্দিষ্ট মাত্রার থেকে কম বা বেশি হরমোন উৎপাদিত হলেই শরীরের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করে।
থাইরয়েড হরমোন কম উৎপন্ন হলে বলা হয় হাইপোথাইরয়েডিসম এবং বেশি উৎপন্ন হলে বলা হয় হাইপারথাইরয়েডিসম। থাইরয়েড হলে শরীরে কিছু পরিবর্তন দেখা যায়। আপনার শরীরে যদি এসব লক্ষণের কোনোটা দেখতে পান, তবে বুঝবেন থাইরয়েড সমস্যায় ভুগছেন।
*হঠাৎ অতিরিক্ত রোগা বা মোটা হয়ে যাওয়া। থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা ওঠা-নামা করার কারণে এমনটি ঘটে।
*থাইরয়েডের সমস্যায় নারীদের মাসিকও ঠিকমতো হয় না।
*অনেকেরই গলায় কালচে দাগ-ছোপ পড়ে। অনেক চেষ্টা করেও এ দাগ ওঠানো যায় না।
*উদ্বেগ ও অবসাদ বাড়তে থাকে।
*ঠিকমতো ঘুম না হওয়া বা অনিদ্রা। এক্ষেত্রে ঘুম আসলেও আবার সময়মতো ঘুম ভাঙতে চায় না।
*অতিরিক্ত ঠান্ডা বা শীত শীত অনুভূত হওয়া।
প্রতি ৬ মাস বা একবছর পর পর থাইরয়েডের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতে হয়। নিশ্চিত থাকুন, সঠিক ডোজে দীর্ঘসময় ওষুধ গ্রহণ করলেও কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। হাইপার থাইরয়েডের ক্ষেত্রে অ্যান্টি থাইরয়েড ওষুধ দিয়ে সেটার উৎপাদন বন্ধ করা হয়। ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রেই ১৮ মাস থেকে ২ বছরের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
বিবার্তা/কেআর
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]