
আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ২০ লাখ ৯৪ হাজার ১১২ কোটি টাকার বিকল্প বাজেট পেশ করেছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি, যা চলতি অর্থবছরের তুলনায় তিন গুণ, জুনে সরকারের পেশ করতে যাওয়া প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় ২ দশমিক ৭ গুণ বড়।
২৫ মে, বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইস্কাটনে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি আবুল বারকাত এই বাজেট প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
উন্নয়ন এবং পরিচালন ব্যয় মিলে এই বাজেটের মোট আকার ২০ লাখ ৯৪ হাজার ১১২ কোটি টাকা। যা বর্তমান বাজেটের চেয়ে প্রায় ৩ গুণ বেশি।
আবুল বারকাত বলেন, অর্থনীতি সমিতির ঘোষিত বাজেট সম্প্রসারণশীল বাজেট। এখানে ২৪টি মূল পয়েন্টের উপস্থাপন করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বৈষম্য ও অসম দারিদ্র্য নিরসন, সামাজিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তাবেষ্টনী, মূল্যস্ফীতি, বিনিয়োগ ও সঞ্চয়, রেমিট্যান্স, পুঁজিবাজার, ব্যাংক, বৈদেশিক খাত, সরকারি ঋণ, কৃষি ভূমি, ভূমি মামলা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়, প্রতিবন্ধী মানুষ, প্রকৃতি ও সরকারি অর্থের সংস্থান প্রভৃতি।
তিনি বলেন, আমাদের বাজেট সম্প্রসারণমূলক। সরকার আগামী অর্থবছরে যে বাজেট প্রণয়ন করতে যাচ্ছে তার আকার ৭ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা বলে আমরা শুনেছি। সেক্ষেত্রে আমাদের বাজেট সরকারের চেয়ে ২ দশমিক ৭ গুণ বড়। ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি, লাগামহীন কর্মবাজার সংকোচন, মহামারি ও ইউরোপ যুদ্ধের অভিঘাত, এসব বিষয় মাথায় রেখে আগামী বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি বলেন, দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বহুমাত্রিক দরিদ্র। ধনী ও অতি ধনীর সংখ্যা ১ শতাংশ। বহুমাত্রিক দরিদ্রের সংখ্যা করোনাকালের চেয়েও বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। অন্যদিকে প্রকৃত মজুরি না বাড়ায় জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। সঞ্চয় ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। মানুষ সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে। অনেকেই ধার-দেনা করে জীবন চালাচ্ছে, খাদ্য তালিকা থেকে আমিষ জাতীয় খাবার বাদ দিতে বাধ্য হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘পূর্ণ কর্ম নিয়োজন, শিশুর জন্য সুস্থ জীবন, সবার জন্য আবাসন ও মূল্যস্ফীতি রোধ’ এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে অর্থনীতি সমিতি বাজেট প্রণয়ন করেছে।
বিবার্তা/রিয়াদ/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]