নীলা ইসরাফিল। নাট্যাঙ্গনের নতুন সম্ভাবনাময়ী অভিনেত্রী। মঞ্চে তার যাত্রা শুরু বলে চরিত্রানুযায়ী অভিনয়ে তার প্রাণবন্ত উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। যে কারণে এই সময়ে টিভি নাটকে তার ব্যস্ততাও বেড়েছে। অভিনয়টাই মনেপ্রাণে করতে চান নীলা। আর তাই ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স শেষে নীলা অধিক মনোযোগী হয়ে উঠেছেন এখন অভিনয়ে।

ছোটবেলায় স্কুলে একক নাটকে অভিনয়ের সময় ‘জাগরণ থিয়েটার’র আজাদ মোহাম্মদের চোখে তার অভিনয় ভালো লেগে যায়। যে কারণে নীলাকে তার দলের সাথে সম্পৃক্ত করেন আজাদ।

‘জাগরণ থিয়েটার’র হয়ে নীলা মঞ্চে অভিনয় করেন ‘হাতেখড়ি’,‘ এখনো যুদ্ধ’ ও ‘কবর’ নাটকে। ২০০৩ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত মঞ্চে নিয়মিত অভিনয় করতেন নীলা। টিভি নাটকে তার প্রথম অভিষেক হয় ২০০৬ সালে অনিমেষ আইচের নির্দেশনায় ‘কুয়া’ নাটকে অভিনয় করে।

সাম্প্রতিক সময়ে তার অভিনীত দর্শকপ্রিয় নাটকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে অনিমেষ আইচের ‘মায়াবতী’, শরাফ আহমেদ জীবনের ‘আবার তোরা সাহেব হ’, তৌহিদ খান বিপ্লবের ‘টিরিগির টক্কা’, আশুতোষ সুজনের ‘সংসার’, এম আই জুয়েলের ‘প্রিয় শেক্সপিয়ার’, ইমরান হাওলাদারের ‘সেই ছোঁয়া’ ইত্যাদি। গেলো একুশে ফেব্রুয়ারিতে তুহিন হোসেন নির্দেশিত আরটিভিতে প্রচারিত ‘অসময়’ নাটকে অভিনয় করেও প্রশংসিত হন নীলা।

অভিনয়ে পথে চলা প্রসঙ্গে নীলা ইসরাফিল বলেন, অভিনয়ে আমার অুনপ্রেরণা আমার বাবা সাদেক হোসেন। ছোটবেলায় বাবা আমাকে কবিতা পড়তে অনুপ্রেরণা দিতেন, শুদ্ধভাবে বাংলা ও ইংরেজি পড়তে ও বলতে অুনপ্রেরণা দিতেন। অভিনয়টা জেনে বুঝে ভালোভাবে অভিনয় করে যেতে চাই। একজন পরিপূর্ণ অভিনেত্রী হতে চাই আমি।

ছোটবেলায় নীলা শিশু একাডেমিতে নাচ গান শিখতেন। তবে নীলা জানান সিনেমাটোগ্রাফির প্রতি তার ভীষণ দুর্বলতা আছে। ক্যামেরার পেছনে সিনেমাটোগ্রাফার হয়েও কাজ করার আগ্রহ আছে তার।

বিবার্তা/অভি/কাফী