
সদ্য প্রকাশিত হয়েছে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল। এতে গড় পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন। প্রকাশিত ফলাফলে কারও কাঙ্ক্ষিত ফল না এলে সে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন বা খাতা চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ দেয় শিক্ষাবোর্ডগুলো। গত ১৩ মে থেকে এ কার্যক্রম চলে ১৯ মে পর্যন্ত। এরমধ্যে শুধু ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে ১ লাখ ৭৯ হাজার ১৪৮টি খাতা চ্যালেঞ্জ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ড থেকে জানা গেছে, এসব শিক্ষার্থীদের আবেদন এখন পুনর্নিরীক্ষণ হবে। তারপর শিগগিরই সেই ফল প্রকাশ করা হবে। তবে কবে ফল প্রকাশ করা হবে তা এখন ঠিক হয়নি। যাদের ফল যদি পরিবর্তন হবে তাদের এসএমএস করে প্রাপ্ত ফলাফল জানিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া সংশোধিত ফল বোর্ডের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে।
শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, পুনর্নিরীক্ষণ করলে একজন শিক্ষার্থীর খাতা পুনরায় মূল্যায়ন করা হয় না। পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন হওয়া উত্তরপত্রের চারটি দিক দেখা হয়। এগুলো হলো, উত্তরপত্রের সব প্রশ্নের সঠিকভাবে নম্বর দেওয়া হয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর গণনা ঠিক রয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটে উঠানো হয়েছে কি না এবং প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট করা হয়েছে কি না। এসব পরীক্ষা করেই পুনর্নিরীক্ষার ফল দেওয়া হয়। এই চারটি জায়গা কোনো ভুল হলে তা সংশোধন করে নতুন করে ফল প্রকাশ করা হয়।
এদিকে আগামী ২৬ মে থেকে একাদশ শ্রেণির ভর্তির আবেদন শুরু হবে। এর মধ্যে অনেকেই কলেজ ভর্তির আবেদন করে ফেলবে। তবে যাদের ফল পরিবর্তন হবে তারা কলেজ ভর্তির আবেদন সংশোধন করার সুযোগ পাবেন বলে বোর্ড কর্মকর্তারা জানান।
গত বছর (২০২৩ সালে) ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে খাতা চ্যালেঞ্জ করে ফেল থেকে পাস করে ১০৪ জন শিক্ষার্থী। আর নতুন করে জিপিএ-৫ পায় ৩৬২ জন। এছাড়া অন্যান্য গ্রেড পরিবর্তন হয় ৩ হাজার ৮৫ জন শিক্ষার্থীর।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]