
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) মতবিরোধের জের ধরে শিক্ষকদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন কোষাধ্যক্ষ ড. মোবারক হোসেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বিষয়ে ২৭ সেকেন্ডের একটি অডিও ভাইরাল হয়, যেখানে কোষাধ্যক্ষকে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ বাক্য বলতে শোনা যায়।
জানা যায়, গত ২৪ মে পদোন্নতি ও ডিউডেট জটিলতা সমাধান সংক্রান্ত এক সভায় কোষাধ্যক্ষ এসব কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, কয়েকজন কর্মকর্তা, শিক্ষকবৃন্দসহ এক্সটার্নাল দুই সদস্য।
সভায় উপস্থিত একাধিক ব্যক্তির তথ্য অনুযায়ী, সবাই যখন কাগজপত্র পর্যালেচনায় ব্যস্ত ছিলেন তখন বশেমুরবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ হঠাৎ বলেন তিনি ঢাকায় যাবেন। এ সময় তার গাড়ির প্রসঙ্গটি আসে। তিনি বলেন, তার টাকা-পয়সা যথেষ্ট আছে৷ তিনি উপাচার্যের বন্ধু বলে এখানে এসেছেন। যদি এখানে তার গাড়িসহ সব সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত না করা হয় তবে তিনি চলে যাবেন। এসময় তিনি চলে গেলে কী করবেন তা উল্লেখ করেই বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষকদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন।
এদিকে কোষাধ্যক্ষের অডিও ভাইরাল হলেও সিনিয়র শিক্ষকদের অধিকাংশ এ বিষয়ে গণমাধ্যমে মন্তব্য করতে রাজি হননি। সভায় উপস্থিত ছয় ডিনের সাথে একাধিকবার চেষ্টা করেও মুঠোফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে সভায় উপস্থিত বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো: শাহজাহান বলেন, সভায় ভিসি স্যার, রেজিস্ট্রারসহ এক্সটার্নাল মেম্বাররা উপস্থিত ছিলেন। তাদের সামনেই সব ঘটেছে। আমি এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কোনো মন্তব্য করতে ইচ্ছুক না।
মানবিকী অনুষদের ডিন আাশিকুজ্জামান ভুঁইয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে বলেন, শোনো ভাই এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।
ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন ঈশিতা রায় বলেন, আপনারা সবই জানেন সবই শুনেছেন। এই মুহূর্তে আমি কিছু বলতে চাচ্ছি না।
এদিকে, ও ঘটনায় শুক্রবার (২জুন) বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতি প্রকাশ করেছে। শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. সালেহ আহম্মেদ এবং সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা মুক্তা সাক্ষরিত বিবৃতিতে জানানো হয়, শিক্ষকবৃন্দ কোষাধ্যক্ষের সাথে আর কোনো শিক্ষক-সংক্রান্ত মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করবেন না এবং কোষাধ্যক্ষেরব পক্ষ থেকে এরুপ ন্যক্কারজনক উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অপদস্থ ও হেয়প্রতিপন্ন করা অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি বিবেচনায় তারা আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
এ বিষয়ে কোষাধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. মোবারক হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এখন ব্যস্ত আছি। এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না।
বিবার্তা/অহনা/কেআর
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]