শিক্ষার উৎকর্ষ বৃদ্ধিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য : ড. মশিউর রহমান
প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৩, ১৮:০০
শিক্ষার উৎকর্ষ বৃদ্ধিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য : ড. মশিউর রহমান
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

শিক্ষার উৎকর্ষ বৃদ্ধিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য বলে মনে করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমরা গণমাধ্যমকে দর্পণ হিসেবে দেখি। গণমাধ্যম সমাজের অসঙ্গতি যেমন তুলে ধরে, তেমনি ভালো কাজকেও উৎসাহিত করে। আর গণমাধ্যমের দায়িত্বশীল ভূমিকাই শিক্ষার সামগ্রিক মানোন্নয়নে বড় অবদান রাখতে পারে।’ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে শিক্ষা বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব) আয়োজিত মাহে রমজান উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য ড. মশিউর রহমান।


দেশের প্রথিতযশা সমাজবিজ্ঞানী ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘আমাদের অনেক দুর্বলতা ও প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নানা ইতিবাচক কাজ হচ্ছে। সেগুলোর জন্য যখন প্রমো বানাতে হয়, প্রচারের আলাদা ব্যবস্থা করতে হয়, তখন মনে হয় এই কাজটি সংবাদপত্রের মাধ্যমে করতে পারলে আরও শক্তিশালী হতো। বিশেষ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে নতুন নতুন ডিসিপ্লিন নিয়ে কাজ করছে। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস চর্চার বিষয়, আইসিটি নিয়ে কাজ করছে। নতুন নতুন ল্যাবে কাজ চলছে। নব উদ্যোগের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। হয়তো অনেক ক্ষেত্রে মনে হয় আমরা কাক্সিক্ষত জায়গায় পৌঁছাতে পারছি না।’


জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য আরও বলেন, ‘প্রান্তিক পর্যায়ে একজন বিজ্ঞান শিক্ষক নানা সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করছে। সে হয়তো আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলছে। চেহারায় হয়তো উজ্জ্বলতা নেই। কিন্তু তার মধ্যে পাণ্ডিত্য আছে। গণমাধ্যমে হয়তো তাদের নিয়ে ফিচার হয়। কিন্তু প্রান্তিক পর্যায়ের এইসব ভালো মানুষদের নিয়ে আরও বেশি ইতিবাচক স্টোরি হলে সমাজে মডেল তৈরি হবে। শিক্ষকেরা এক ধরনের না পাওয়ার বঞ্চনায় ভোগেন। প্রচারবিমুখ থাকেন। কিন্তু তাদের মধ্যে নিরলস প্রচেষ্টা থাকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভালো কিছু করার। আমি যখন বাংলাদেশের প্রান্তিক পর্যায়ে বিভিন্ন কলেজে যাই তখন কিছু নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক দেখি। যারা নিরন্তর চেষ্টা করেন শিক্ষার মানোন্নয়নে।’


দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার বিকল্প নেই উল্লেখ করে উপাচার্য ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘আমাদের সকল কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চাই। দুর্বলতা অনিয়ম নিয়ে যেমন প্রশ্ন থাকা উচিত, তেমনি ভালো কাজের প্রচারও হওয়া উচিত। নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিক হিসেবে আপনাদের লেখনিতে শিক্ষার উৎকর্ষতা আর বেড়ে যাক- এই প্রত্যাশা করি।’


মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, নর্থ সাউথ বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর আতিকুল ইসলাম, মাউশির ডিজি, বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ শিক্ষা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবর্গ। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ইরাবের সভাপতি মীর মোহাম্মদ জসিম ও সভা সঞ্চালনা করেন ইরাবের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসাইন।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com