সম্প্রতি সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান নিয়ে হওয়া সমালোচনার প্রেক্ষিতে বিবৃতি দিয়েছে বইয়ের দায়িত্ব পালন করা দুই সম্পাদক।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) পাঠ্যপুস্তকের লেখা নিয়ে অভিযোগ প্রসঙ্গে বিবৃতি দেন শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও হাসিনা খান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, সারাদেশে ২০২৩ সালে চালু হওয়া নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তক ছাপা হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। গতকাল প্রথম আলো অনলাইনে প্রকাশিত একটি মতামত কলামে সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ' বইটির ব্যাপারে একটি অভিযোগ আমাদের নজরে এসেছে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, এই বইয়ের কোন কোন অধ্যায়ের আশবিশেষ ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এডুকেশনাল সাইট থেকে নিয়ে হুবহু অনুবাদ করে ব্যবহার করা হয়েছে। বইয়ের এই নির্দিষ্ট অংশটুকু এবং ওয়েবসাইটটির একই লেখাটুকু তুলনা করে অভিযোগটি আমাদের কাছে সত্য বলেই প্রতীয়মান হয়েছে।
আরও বলা হয়, একটি পাঠ্যপুস্তক রচনার সাথে অনেক লেখক জড়িত থাকেন যাদের শ্রম ও নিষ্ঠার ফলাফল হিসেবে বইটি প্রকাশিত হয়। বিশেষত, জাতীয় পাঠ্যপুস্তক রচনার ক্ষেত্রে এই সকল লেখকের কাছ থেকেই এক ধরনের দায়িত্বশীলতা আশা করা হয়। সেখানে কোন একজন লেখকের লেখা নিয়ে এধরণের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তা আমাদের পুরো টিমের জন্য হতাশা এবং মনখারাপের কারণ হন। উক্ত অধ্যায়ের আলোচিত অংশটুকু লেখার দায়িত্বে আমরা দুজন না থাকলেও সম্পাদক হিসেবে এর দায় আমাদের উপরেও বর্তায়, সেটি আমরা স্বীকার করে নিচ্ছি। অবশ্যই পরবর্তী সংস্করণে বইটির প্রয়োজনীয় পরিমার্জন করা হবে।
সমালোচিত বইটির প্রয়োজনীয় পরিবর্তন বা পরিমার্জন করা হবে জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, এই বছর বইটির পরীক্ষামূলক সংস্করণ চালু হয়েছে, এবং সামনের শিক্ষাবর্ষ থেকে একে যথেষ্ট পরিমার্জন ও সম্পাদনার সুযোগ রয়েছে। কাজেই উল্লেখিত অভিযোগের বাইরে যেকোন যৌক্তিক মতামতকে আমরা যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে নেব এবং সে অনুযায়ী পাঠ্য বইয়ের প্রয়োজনীয় পরিবর্তন বা পরিমার্জন করা হবে।
বিবার্তা/রাসেল/বিএম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]