
সাংবাদিকরা দেশ-বিদেশের সব মানুষের আনন্দ-বেদনার খবর লিখেন, কিন্তু সাংবাদিকদের খবর কেউ নেন না। তারা খবর লিখেই যান, কিন্তু কখনো খবর হন না। আর যখন হন তখন ৯০ ভাগ ক্ষেত্রেই সেটা হয় মর্মান্তিক। এই যেমন পাবনা শহরের নারী সাংবাদিক সুবর্ণা নদী। মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টার দিকে তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
কে তিনি? এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে জানা যায়, তিনি ছিলেন ওয়েবপোর্টাল জাগ্রত বাংলার সম্পাদক ও প্রকাশক, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আনন্দ টিভি, টাইমস টিভি ও দৈনিক অন্য দিগন্তের পাবনা প্রতিনিধি, নির্ভিক সংবাদের ব্যুরো চীফ এবং পাবনা উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান।
বোঝাই যায়, ছোট শহরে হলেও বেশ করিৎকর্মা ছিলেন তিনি। একাধিক মিডিয়ার প্রতিনিধিত্ব করছিলেন নিজ শহরে। তার এ সাফল্যই কি কাউকে ঈর্ষাকাতর করেছিল? নাকি পেশাগত দায়িত্ব পালনের সুবাদে কোনো মহলের কায়েমী স্বার্থে আঘাত করেছিলেন তিনি? যা-ই হোক না কেন, তার জবাবে হত্যাকে কোনোভাবেই মানা যায় না। এ কাজ কাপুরুষের। ওই কাপুরুষের দলের মুখে থুতু দেই।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক সূত্রে জানা যায়, পাবনার এক ব্যবসায়ীর ছেলের সঙ্গে সুবর্ণার বিয়ে হয়েছিল। সম্প্রতি তাদের বিচ্ছেদ হয়। এ নিয়ে আদালতে একটি মামলাও চলছে। সুবর্ণার ৯ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। তিনি অল্প কিছুদিন আগে ঢাকা ও পাবনায় সাবেক স্বামী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে নিজের নিরাপত্তা চেয়েছিলেন। হায়, আমাদের সমাজ তার আকুতি শোনেনি, পারেনি তাকে কাঙ্ক্ষিত নিরাপত্তা দিতে। তার ফল যা হবার তা-ই হলো।
আমাদের শত কান্না, হাজারো প্রতিবাদও এ দুঃখিনী মেয়েটিকে ফিরিয়ে এনে দিতে পারবে না। কিন্তু তাই বলে আমরা চুপ করে বসে থাকবো না। আমরা গগনবিদারী চিৎকার করে বলবো, ''খুনীদের ধরো, বিচার করো, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাও।'' আমরা কাপুরুষ ঘাতকদলের উদ্দেশে অহরহ উচ্চারণ করবো অভিশাপ - তোরা জাহান্নামের আগুনে পুড়তে থাক অনন্তকাল।
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]