
আমাদের দুয়ারে আবার ফিরে এসেছে ১৫ আগস্ট। বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক ঘোর কালো দিন। ১৯৭৫ সালের এ কৃষ্ণ রাত্রির অন্ধকারে একদল ঘাতক হত্যা করে এ জাতির সবচাইতে জ্যোতির্ময় মানুষটিকে। তাঁর নাম শেখ মুজিবুর রহমান। দেশবাসী পরম শ্রদ্ধায় যাকে বসিয়েছে জাতির জনকের গৌরবময় আসনে আর আন্তরিক ভালোবাসায় যাকে ডাকে বঙ্গবন্ধু।
সেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদত দিবস আজ। ১৯৭৫ থেকে ২০১৮ - বড় কম সময় নয়। কিন্তু সময়ের ধূলোবালি সযত্নে এড়িয়ে এত দীর্ঘ সময় পরও বঙ্গবন্ধু আমাদের স্মৃতি চিন্তা ও চেতনায় এখনও সজীব ও অমলিন। এমনই থাকবেন তিনি। কারণ, এ যে ''পিতার সাথে সন্তানের না-লেখা প্রেমচুক্তি!'' পিতা মুজিবের সন্তান আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ, এদেশের লাখো কোটি জাগ্রত জনতা। এ বন্ধন ছিন্ন হবার নয়। পৃথিবীর কোনো শক্তি, কোনো ঘাতক দলের বুলেট, কোনো নিন্দুক দলের অপপ্রচার শেখ মুজিবকে বাঙালি জাতি, তার অস্তিত্ব, তার ইতিহাস-ঐতিহ্য, তার স্বাধীনতা এবং তার আত্মা থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না।
বাঙালি জাতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তাই এক ও অবিভাজ্য সত্তার নাম। ১৯৭৫এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যা করে ঘাতকদল ও তাদের প্রকাশ্য-নেপথ্যের মদদদাতারা ভেবেছিল, বঙ্গবন্ধুকে তারা মুছে ফেলতে পেরেছে। কিন্তু তারা কল্পনাও করতে পারেনি যে, বঙ্গবন্ধু জাতির চোখের সামনে থেকে সরে গিয়ে স্থান করে নিয়েছেন চোখের তারায়, হৃদয়ের গভীরে, যে আসন থেকে কোনো রাজন্য কাউকে সরাতে পারে না।
জাতির হৃদয়সিংহাসন থেকেও সরানো সম্ভব হয়নি বঙ্গবন্ধুকে। বঙ্গবন্ধু নেই, কিন্তু আছে তাঁর অনির্বাণ আদর্শ। আছেন তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর দক্ষ ও গতিশীল নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে তৎপর লাখো-কোটি কর্মী।
সুতরাং কে বলে, কারা বলে বঙ্গবন্ধু নেই! বঙ্গবন্ধু ছিলেন আছেন থাকবেন - বাঙালির চেতনায় কর্মে বিশ্বাসে। থাকবেন আমাদের স্বপ্নে, জাগরণে। ১৫ আগস্ট তাই শুধু অশ্রু বিসর্জনের দিন নয়, শপথ নেয়ারও দিন। শোককে শক্তিতে পরিণত করার শপথ।
আজকের এই দিনে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদের প্রতি জানাই আন্তরিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু!
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]