
সাড়ে তিন ঘণ্টার ভারী বৃষ্টিতে নড়াইল জেলা শহরের বিভিন্ন অলিতে-গলিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানি উঠেছে বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ঘরবাড়িতেও। অধিকাংশ রাস্তায় গোড়ালি, আবার কোথাও হাঁটুপানি জমেছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শহরবাসী। শহরের বেশির ভাগ এলাকায় ড্রেন ব্যবস্থাপনা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই পৌরসভার অনেক এলাকা ডুবে গেছে।
২৬ আগস্ট, সোমবার দুপুরে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, পৌরসভার মাসিমদিয়া, কুড়িগ্রাম, দক্ষিণ নড়াইল, দক্ষিণ ভাদুলিডাঙ্গা, বউবাজার, গোহাটখোলা, ভওয়াখালী, দুর্গাপুর, আলাদাতপুর, মহিষখোলাসহ অর্ধশতাধিক বাড়ি বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। করেন
ভুক্তভোগী আল আমিন বলেন, বাড়ির নিচতলায় হাঁটুপানি জমেছে রয়েছে। টিউবওয়েলের কিছু অংশ পানিতে তলিয়ে আছে। ফলে বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়েছি আমরা সবাই। এদিকে রান্না ঘরেও পানি প্রবেশ করায় দুপুরের রান্নাও বন্ধ রয়েছে।
ভাদুলিডাঙ্গা এলাকার নিতাই কুমার বিশ্বাসর বলেন, গত কয়েক দিন ধরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে, গতকাল রবিবার রাতভর ভারী বৃষ্টিতে ঘরে পানি উঠে গেছে।
নড়াইল পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ১৯৭২ সালে ২৮ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত হয় নড়াইল পৌরসভা। ১৯৯৯ সালে প্রথম শ্রেণির পৌরসভায়
উন্নীত হয়েছে। পৌরসভার জন্য ৫৫ কিলোমিটার ড্রেনের প্রয়োজন হলেও আছে মাত্র ৩ কিলোমিটার যা প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য।
নড়াইল পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা ওহাবুল আলম বলেন, প্রতিবছর পৌরসভার জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করা হয়। এ বছর বৃষ্টির পানি সরাতে কিছু কাজ করা হয়েছে। তবে স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজন ৫৫ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ। তবে এ অর্থ পৌরসভার হাতে নেই।
বিবার্তা/শরিফুল/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]