ঢাবিতে পুরো রমজান মাস জুড়ে ইফতার আমেজ
প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২৩, ১৯:৩৫
ঢাবিতে পুরো রমজান মাস জুড়ে ইফতার আমেজ
প্রিন্ট অ-অ+

সমগ্র রমজান মাস জুড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস উৎফুল্ল থাকে শিক্ষার্থীদের ভ্রাতৃত্বের বন্ধন ইফতার পার্টিকে কেন্দ্র করে। উপজেলা, জেলা, বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন সংগঠনের সম্মিলনে ইফতার আমেজ চলতে থাকে পুরো রমজানে। এ যেন মিলনমেলা, প্রী‌তি ও সৌহা‌র্দ্যের এক মহা উৎসব।


সকলের সম্মিলনে এই ইফতারের আয়োজন যেন ভু‌লি‌য়ে দেয় সব বাধা ব্যবধান। হাজারো আশা, প্রত্যাশা নিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য আসা প্রতিটি শিক্ষার্থীর দুঃখ, হতাশা ঘুচিয়ে দেয় ভ্রাতৃত্বের এই বন্ধনগুলো। ক্যাম্পাসে বন্ধুদের সাথে সাহরি ও ইফতারের করার মধ্য দিয়ে এই শূন্যতা পূরণ হয়।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ( ঢাবি) ১৮টি হলের মধ্যে জগন্নাথ হল ব্যতীত অন্য সব হলে থাকেন মুসলিম শিক্ষার্থীরা। রমজান মাস আগমনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি প্রাঙ্গণ যেন এক-একটা মিলনমেলা । সিনিয়র, জুনিয়র এবং সাবেক শিক্ষার্থীদের ইফতার পার্টির মধ্য দিয়ে সবার সাথে সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ হয়। সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়তেই শুরু হয়ে যায় ইফতারের প্রস্তুতি। টাকার হিসাব নিকাশ, কাজের ভাগবাটোয়ারা চলতে থাকে অনেকক্ষণ, কি কি আইটেম রাখা যায় চলে গোলটেবিল বৈঠক। বিকেলে গড়াতেই না গড়াতে তপ্ত রোদে ঢাবির হলগুলোতে ও টিএসসির আশপাশে ভাসমান দোকানে ইফতারির পসরা সাজিয়ে বসেছে। হলের মাঠে, বটতলায়, টিএসসি কার্জন হল, সবুজ চত্বর, মল চত্বরে গোল করে বসে নিচ্ছে ইফতারের প্রস্তুতি। যেন প্রেম, প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন।


ইফতার আয়োজনে থাকে ছোলা, পেঁয়াজু, বেগুনি, চপ, পাকোড়া, জিলাপি, খেজুর, মুড়ি, জুস এবং বিভিন্ন ফলমূল ইত্যাদি। পাশাপাশি হলপাড়ায় পাওয়া যায় খিচুড়ি, হালিম, পোলাও, বিরিয়ানি।


কবি সুফিয়া কামাল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সেঁজুতি বিশ্বাস বলেন, ইফতার শুধু ইসলাম ধর্মের মানুষ না, সকল ধর্মের মানুষই অংশগ্রহণ করে।এটা আমাদের মধ্যে অসাম্প্রদায়িক চেতনা জাগায় এবং বিভিন্ন জেলা, উপজেলা নিজ নিজ ডিপার্টমেন্টের ইফতারের আয়োজন আমাদের মধ্য পরিচিতি বাড়ায় এবং সম্পর্ক গুলো দৃঢ় করে। আমার মুসলিম বন্ধুবান্ধবদের সাথে ইফতার করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।


বগুড়া স্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি সালাহ উদ্দিন আহমেদ সাজু বিবার্তাকে বলেন, শিক্ষার্থীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার এসব সংগঠন চালু হয়ে থাকে। এসব সংগঠন ক্যাম্পাসে যেকোনো প্রতিকূল পরিবেশ থেকে অনুকূল পরিবেশে উত্তরণের জন্য এবং সিনিয়র-জুনিয়র ভালো সম্পর্ক তৈরি করে থাকে। একটি জেলায় অনেক উপজেলা থাকে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত শিক্ষার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলে। এখানে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন থাকে এজন্য সবাই সবার সাথে যোগাযোগ রাখে৷ এসব সংগঠন থেকে উপরন্তু কোনো পাওনা থাকে না বরং নিজেদের মধ্যে একটা সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে। মানসিকভাবে প্রশান্তি পাওয়া যায় ।


সাতকানিয়া- লোহাগড়া ছাত্র সংগঠন ডুসালস এর সভাপতি সিয়াম বলেন, আমাদের নিয়মিত প্রোগ্রামের মধ্যে ইফতার পার্টি অন্যতম। আমরা সাধারণত বছরে অনেকগুলো প্রোগ্রাম আয়োজন করে থাকি যার মাধ্যমে নবীন, প্রবীণ এবং সাবেকদের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ক্যাম্পাসে সবার সাথে পরিচিত হওয়ার অন্যতম মাধ্যম হলো সংগঠনের বিভিন্ন প্রোগামগুলো।



বিবার্তা/ফারুক/এনএস

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com