
ফেনীর উত্তরাঞ্চলে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর ৮ স্থানে ভেঙেছে বাঁধ। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে ভাঙন শুরু হয়। কোথাও কোথাও নদীর পানি বেড়িবাঁধের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এখানকার বাসিন্দারা চরম অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্যে রাত কাটিয়েছেন।
দুর্গতদের জন্য শুকনো খাবার ও রান্না করা খাবারের জন্য সাড়ে ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ১০টার দিকে ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
নিরাপদে থাকতে রাতেই আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন অনেকেই। জেলা প্রশাসক (ডিসি) জানিয়েছেন, ১৩১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ফুলগাজী উপজেলায় ৩২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৬৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পরশুরাম উপজেলায় ৩২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবার, রান্না করা খাবার ও বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখায় ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম (মোবাইল নম্বর-01818-444500, 01336-586693) খোলা হয়েছে।
এদিকে, ফুলগাজীতে দেড়পাড়া, শ্রীপুর, মুন্সিরহাট, বরইয়া, নিলক্ষীসহ ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফুলগাজী বাজারে পানি ঢুকে দোকানপাট পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। পরশুরাম উপজেলার উত্তর ধনীকুন্ডা, মধ্যম ধনীকুন্ডা, রামপুর, দুর্গাপুর ও রতনপুর প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া পরশুরামের বল্লামুখায় ভারতের অংশে বাঁধ ভেঙে বাংলাদেশ অংশে পানি ঢুকছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আকতার হোসেন জানিয়েছেন, মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার ১৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত দুই দিনের টানা বর্ষণে ফেনী শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকা থেকে এখন পানি কমতে শুরু করেছে। তবে যেসব নিচু এলাকা রয়েছে, সেসব নিচু ঘরগুলো থেকে পানি কমলেও এখনো বসবাসের উপযোগী হয়নি। চরম ভোগান্তিতে রাত পার করছেন তারা।
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]