
নড়াইল কালিয়া উপজেলার মাউলি পঞ্চপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের রয়েছে একটি আধা পাকা টিন সেটের ঘর। তবে নেই কোন জালনা-দরজা। ঝড় বৃষ্টি নামলেই বন্ধ হয়ে যায় স্কুলের পাঠদান। মেঘের গর্জনে কেঁপে উঠে কোমলমতি ছাত্র- ছাত্রীর বুক। বৃষ্টি নামলে ভিজে যায় বই খাতাসহ ছাত্র-ছাত্রীদের পরিহিত স্কুল ড্রেস। বিদ্যালয়টিতে রয়েছে তিন শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী। তারা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে করছে ক্লাস।
সোমবার(২৩জুন) মাউলি পঞ্চপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গিয়ে দেখা গেছে, টিন সেটের ঘরে চলছে পাঠদান। শ্রেণীকক্ষের টিনের চালে রয়েছে একাধিক ছিদ্র, বৃষ্টি নামলেই শ্রেণি কক্ষে পানি ঢুকে যায়। কখনও কখনও পার্শ্ববর্তী হাজরা তলা মন্দিরে বারান্দায় করানো হয় পাঠদান।
মাউলি পঞ্চপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র অলোক শ্বাস জানান, স্কুল ঘরে জালনা দরজা নেই, বৃষ্টি নামলে বই খাতা ভিজে যায়, ঝড় বাতাস ছাড়লে আমরা আতঙ্কে থাকি। তবে ক্লাসে আমরা ভালো ভাবে মনোযোগ দিতে পারি না। বাধ্য হয়ে ওই রুমে ক্লাস করতে হয়।
নবম শ্রেণীর ছাত্রী মীম খানম বলেন, যখন মেঘ ঢাকে বা বিদুৎ চমকায় তখন ভয়ে আমাদের বুক কেঁপে উঠে। বন্ধুরা ভাল স্কুলে পড়ে তাদের বিদ্যালয়ে চার তলা ভবন রয়েছে। কিন্তু আমাদের নেই, এতে আমাদের মন খারাপ হয়। সরকারের কাছে আমাদের দাবি একটা নতুন ভবন জন্য।
মাউলি পঞ্চপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, ইচ্ছা শক্তি থাকলে ও সঠিক ভাবে কাজ করতে পারছি না। ভবন না থাকার কারণে আধুনিক যুগে ডিজিটাল ক্লাস নিতে আমরা ব্যর্থ হচ্ছি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি একটি নতুন ভবন দেওয়ার জন্য।
নড়াইল জেলা শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, মাউলি পঞ্চপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবস্থা খুবই খারাপ। স্কুলটিতে ক্লাস নেওয়ার মত কোন ক্লাস রুম নেই। শিক্ষা অধিদপ্তরে এ বিদ্যালয়ের বরাদ্দের জন্য আবেদন করা হয়েছে।
বিবার্তা/শরিফুল/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]