পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে বান্দরবান জেলার লামা উপজেলা সাংবাদিক ইউনিটির সভাপতি চৌধুরী মোহাম্মদ সুজনের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনার প্রতিকার ও প্রতিবাদে মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে লামা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন করা হয়। ভুক্তভোগী চৌধুরী মোহাম্মদ সুজন এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। এ সময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক তামিম সহ স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। চৌধুরী মোহাম্মদ সুজন দৈনিক নববাণী পত্রিকার লামা উপজেলা প্রতিনিধি ও পৌরসভা এলাকার নয়াপাড়ার বাসিন্দা মৃত আব্দুল মালেক চৌধুরীর ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে চৌধুরী মোহাম্মদ সুজন উল্লেখ করেন, গত ২ জুন দিনগত রাতে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপস্থিতিতে লামা বন বিভাগ পৌরসভা এলাকার লাইনঝিরিতে একটি অবৈধ কাঠ বোঝাই ট্রাক আটক করে। খবর পেয়ে চৌধুরী মোহাম্মদ সুজনসহ কয়েকজন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে যান। কাঠ বোঝাই ট্রাকটি আটক করায় স্থানীয় আমির হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, মনিরুল ইসলামসহ আরো অজ্ঞাত ১০-১২ জন সংঘবদ্ধ হয়ে বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা এসএম আতা এলাহির সাথে দুর্বব্যবহারসহ উচ্ছৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে মারধর করার চেষ্টা করেন। পরে অন্যান্য সংবাদকর্মীদের মত চৌধুরী মোহাম্মদ সুজনও তাদের উচ্ছৃঙ্খল আচার-আচারণ ভিডিও ধারণের চেষ্টা চালায়। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে চৌধুরী মোহাম্মদ সুজনকে অশ্লীল ও অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করেন। এতেও ক্ষান্ত না হয়ে পরবর্তীতে সংবাদ সংগ্রহ কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ও টানা হেচড়া করে করে তারা। বিষয়টি নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে চৌধুরী মোহাম্মদ সুজনকে ডাকাতি মামলায় জড়িয়ে হয়রানিসহ সংবাদ সংগ্রহ কাজে প্রতিনিয়ত প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে, সুযোগ বুঝে দেখে নিবে, এমনকি প্রয়োজনে প্রাণে হত্যা করে লাশগুম করবে মর্মে মারাত্মক হুমকি প্রদর্শন করে। তাদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন চৌধুরী মোহাম্মদ সুজন।

এদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান স্থানীয় সাংবাদিকরা। তবে অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম ও আমির হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, চৌধুরী মোহাম্মদ সুজনের উপর কোন ধরণের হামলা হয়নি।

বিবার্তা/আরমান/এসএস