কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশ সেরা কুষ্টিয়ার ‘বাংলার ডন’ এবার সবার নজর কাড়ছে। আরো রয়েছে মাফিয়া ডন, হামজা, আলিফ, সুলতান, বাদশা, রকি, কুষ্টিয়ার ডন, রাজা ও কালামানিক সহ অন্তত ২০টি গরু।

কুষ্টিয়ার বড় আইলচারা গ্রামের বোরহান মন্ডল ও আনারুল ইসলাম দেশীয় খাবার খাওয়ায়ে কোরবানির জন্য মোটাতাজা ও প্রস্তুত করেছেন দেশসেরা এসব গরু। ১৬০০ কেজি ওজনের ‘বাংলার ডন’ এর দাম হাকা হচ্ছে ২১ লাখ টাকা। যা দেশ সেরার তালিকায় রয়েছে বলে খামারী বোরহান মন্ডলের দাবি।

বিশাল দেহের ষাঁড় বা গরু নাম তার ‘বাংলার ডন’। আরো রয়েছে মাফিয়া ডন, হামজা, আলিফ, সুলতান, বাদশা, রকি। পেশাদার খামারী বোরহান মন্ডলের ৭টি গরুর মধ্যে ‘বাংলার ডন’ এবার দেশসেরার তালিকায় রয়েছে বলে দাবি তার। ১৬০০ কেজি ওজনের গরুটির দাম হাকছেন তিনি ২১ লাখ টাকা। আরও বাঁকী ৬টি গরু বিক্রি করতে চান প্রত্যেকটি ১২ থেকে ১৬ লাখ টাকা করে। পূর্ব পুরুষের ঐতিহ্য ধরে রাখতে কোরবানির জন্য বিশাল আকৃতির গরু প্রস্তুত করা খামারী বোরহান মন্ডল নেশা বলে জানিয়েছেন তিনি।

শুধু বোরহান মন্ডল নয়, একই গ্রামের আনারুল ইসলামও প্রস্তুত করেছেন কুষ্টিয়ার ডন, রাজা, বাদশা, সুলতান ও কালামানিক। কাঁচা ঘাস, ছোলা, ডাল, ভুট্রা, সাবুদানা ও খড় খাওয়ায়ে তিনি কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন এসব গরু। প্রতিটি গরুর দাম হাকা হচ্ছে ৫ লাখ টাকা করে। ভারত থেকে গরু আমদানি না করার পাশাপাশি সড়ক পথে চাঁদাবাজি রোধে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।

একবছর ধরে এসব গরু মোটাতাজা করতে পরিবারের সদস্যদেরও রয়েছে নিরলস শ্রম। ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারলে লাভ হবে এমন প্রত্যাশা আনারুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদেরও।

জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের সহযোগিতায় এ বছর কুষ্টিয়ায় গরু লালন-পালনের সংখ্যা বেড়েছে। দেশীয় খামারীদের পালনকরা গরু দেশের কোরবানির চাহিদা পূরণ হবে এবং তারা ন্যায্য দামও পাবেন বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আল মামুন হোসেন মন্ডল।

কুষ্টিয়ার এবছর সাড়ে ১৮ হাজার খামারে প্রায় ২ লাখ পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। ভারতীয় গরু না আসলে ভাল দাম পাবেন বলে প্রত্যাশা কুষ্টিয়ার খামারীদের। তবে গো খাদ্যের দাম কমানো গেলে খামারীরা শুধু লাভবানই হবেন না নতুন নতুন খামার সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এমন দাবী সংশ্লিষ্ট মহলের।

বিবার্তা/শরীফুল/এসএস