
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের অশালীন প্রস্তাব ও যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা ওই শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেছে।
রবিবার (১৮ মে) ও শনিবার (১৭ মে) সকালে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ করেছে।
বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে মামুন হোসেন ছাত্রীদের প্রতি অশালীন ও অশ্লীল আচরণ করে আসছেন। বিষয়টি একাধিকবার মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। সর্বশেষ, ১০ম শ্রেণীর দুই ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন ওই শিক্ষক। ঘটনাটি জানার পর অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হন।
এছাড়াও মদ্রাসার একাধিক শিক্ষার্থী জানান, মামুন হোসেন বিভিন্ন সময় তাদের কুপ্রস্তাাব দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং নানা অঙ্গভঙ্গি করে যৌন হয়রানি করার চেষ্টা করে থাকেন।
অভিভাবকরা জানান, আমরা আমাদের সন্তানদের মাদ্রাসায় শিক্ষা দিতে পাঠাই, সেখানে এমন অপমানজনক আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। আমরা অভিযুক্ত শিক্ষকের স্থায়ী অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক মামুন হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শিক্ষার্থীদের শাসনের প্রয়োজনে কখনো কখনো নানা কথা বলতে হয়। এতে কেউ ভুল বুঝলে আমার কিছু বলার নেই।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি শফিউল ইসলাম বলেন, আমি বর্তমানে বাইরে আছি। বিষয়টি শুনেছি। আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।
ফয়সাল ওয়াজেদ দাখিল মাদ্রাসার সুপার আমিনুল ইসলাম (জহিরুল) বলেন, আমরা উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনেছি। আগামী মাদ্রাসা কমিটির সভায় বসে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল হাই সিদ্দিকী জানান, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে বসে আলোচনা করবে, যদি অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিবার্তা/শরীফুল/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]