সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার চামরদানি ইউনিয়নের আমজোড়া ও সিদলী গ্রামের লোকজন জলুষা গ্রামের কিছু লোকজনের বিরুদ্ধে হামলা, মামলা ও হয়রানির অভিযোগ এনে মানববন্ধন করে প্রতিবাদ জানিয়েছে।

২৬ মার্চ, বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় আমজোড়া ফুটবল খেলার মাঠে আমজোড়া ও সিদলী গ্রামবাসীর যৌথ উদ্যোগে এমন বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে জলুষা গ্রামের বাসিন্দা নুরজামাল, খসরুজ্জামান কবির, আলমগীর,শাহ আলম, লালচান, সাইরুল, মানিক মিয়া ও সাগরের বিরুদ্ধে আম জোড়া গ্রামের ইউপি সদস্য উজ্জ্বল মিয়া, আজিমুল, রিফাল, নুরকুল সহ তাদের লোকজনের ওপর হামলা, মামলা ও হত্যার প্রতিবাদ জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, উজ্জ্বল মিয়া, রুহুল আমিন, ওলীউজ্জামান, সাব্বির হাসান, মোশাররফ হোসেন, মোঃ রিফাল,জজ মিয়া প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমজোড়া ও সিদলী গ্রামের লোকজনের সাথে জলুষা গ্রামের একটি পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় ধরে এ দ্বন্দ্ব চলছে। জলুষা গ্রামের অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ভয়ে আমজোড়া ও সিদলী গ্রামের লোকজন প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী কিনতে স্থানীয় জনতা বাজারে এবং কৃষি কাজের জন্য হাওরেও যেতে পারছেন না। পূর্ব শত্রুতা, মামলা সংক্রান্ত বিরোধীতা ও অটোরিকশায় যাত্রী পরিবহন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে তিন গ্রামবাসী যে কোনো সময় সংঘর্ষে জড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।

চামরদানি ইউনিয়নের চামরদানি ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য উজ্জ্বল মিয়া বলেন, আমার বাবাকে পরিবহন না করায় জলুষা গ্রামের অটোরিকশা চালক হোসেনের সাথে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বাবার বাকবিতন্ডা হয়েছিল। এমনকি বাবাকে বাজারে আটকে রাখা হয়েছিল। পরেরদিন জনতা বাজারে সালিশ হলেও হোসেন ক্ষমা না চাইলে উভয়পক্ষের মধ্যে মারমারি হয়। পরে হোসেনের মা আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। হোসেনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে খসরুজ্জামান, লালচানসহ তাদের লোকজন পূর্ব শত্রুতার জের মেটাচ্ছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে।

খসরুজ্জামান কবির ও লালচান বলেন, উজ্জ্বল ও তার লোকজন অটোরিকশা চালক হোসেনের বাবার দাড়ি ছিড়ে ফেলেছিল। সবাই বাজারে আসতে পারে। উজ্জ্বলের পরিবার ছাড়া অন্য কাউকে বাজারে আসতে বাধা দেইনা।

মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জ্বল রায় ও থানার ওসি সজীব রহমান বলেন, স্বাধীনভাবে চলাফেরায় কেউ বিঘ্ন ঘটালে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিবার্তা/শহীদুল/এসএস