
নওগাঁর মান্দায় ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক না হয়েও দীর্ঘদিন ধরে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক সেজে এরশাদ আলী নামে এক ব্যক্তি ফিজিওথেরাপির যাবতীয় চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। কোনো সনদ না থাকায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ওই প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন।
কিছুদিন পূর্বে মান্না নামে এক ব্যক্তি ওই ভুয়া ফিজিওর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হলে ভুয়া সনদের সত্যতা বেরিয়ে আসে।
ভুয়া ফিজিও এরশাদ আলী মান্দা উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের মৃত ফাকের আলী সোনারের ছেলে ও উপজেলার আধুনিক থেরাপিষ্ট সেন্টারের চিকিৎসক ও পরিচালক। সদন না থাকলেও স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই সেখানে চিকিৎসা প্রদান করেন।
জানা গেছে, ভুয়া ফিজিও এরশাদ আলী ১৯৯২ সালে গোটগাড়ি শহিদ মামুন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগে এসএসসি পাস করেন। এরপরে তিনি আর লেখাপড়া করেননি। তিনি ঢাকার একটি ফিজিওথেরাপি সেন্টারে চাকরি করতেন। সেখান থেকে এসে উপজেলায় আধুনিক ফিজিও থেরাপি সেন্টার খুলে বসেন। সম্প্রতি অভিযোগের ভিত্তিতে ভুয়া ফিজিওর বিরুদ্ধে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে বেরিয়ে আসে তার ভুয়া সনদের সকল তথ্য। সনদ ক্রয় করে তিনি ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন।
মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার রায় বলেন, ভুয়া আধুনিক ফিজিও থেরাপি সেন্টারের চিকিৎসক এরশাদ আলীর ফিজিওথেরাপি সংক্রান্ত কোন সনদ না থাকায় সংশ্লিষ্ট দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট সেন্টার বন্ধের জন্য অনুলিপি প্রেরণ করেছি। এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর ব্যবস্থা গ্রহণ ও বন্ধের জন্য অনুলিপি প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ আলম মিয়া বলেন,এ বিষয়ে এখনো কোনো চিঠি পাইনি। চিঠি পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিবার্তা/আপেল/রোমেল/জেএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]