আলু বীজ সরবরাহ নিয়ে
রাজশাহীতে বিএডিসির উপ-সহকারী পরিচালকের বিরুদ্ধে চাষীদের অভিযোগ
প্রকাশ : ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২২:২৩
রাজশাহীতে বিএডিসির উপ-সহকারী পরিচালকের বিরুদ্ধে চাষীদের অভিযোগ
রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

২০২৩-২০২৪ মৌসুমে আলু বীজ সরবরাহ নিয়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) রাজশাহীর উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।


চাষীরা বলছেন, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চুক্তিবদ্ধ চাষীদের উৎপাদিত আলু বীজ সরবরাহ করার কথা বিএডিসিতে। সে অনুযায়ী চাষীদের কাছ থেকে প্রতি বস্তায় ৫০ কেজির স্থলে ৫৩ কেজি করে আলু বীজ সরবরাহ করতে বাধ্য করেছেন উপসহকারী পরিচালক। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল কাদের বলছেন, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চুক্তিবদ্ধ চাষীরা বিএডিসিতে আলু বীজ সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।


এসব বিষয়ে বিএডিসি আলুবীজ চুক্তিবদ্ধ কৃষক ফোরাম রাজশাহীর সাংগঠনিক সম্পাদক হাসিবুর রহমান বিএডিসির চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পাশাপাশি কৃষি উপদেষ্টা, বিএডিসি বীজ ও উদ্যানের পরিচালক, বিএডিসি আলু বীজ প্রকল্প পরিচালক ও রাজশাহী আলু বীজ (কৃষি) উপ-পরিচালকের কাছেও এ অভিযোগের অনুলিপি পাঠিয়েছেন।


বিএডিসি আলুবীজ চুক্তিবদ্ধ কৃষক ফোরাম রাজশাহীর সাংগঠনিক সম্পাদক হাসিবুর রহমান তার লিখিত অভিযোগে জানান, চলতি বছর রাজশাহী জোনের আওতাধীন চাষীরা এক হাজার ৭০০ মেট্রিক টন আলু বীজ বিএডিসিতে দিয়েছেন। কিন্তু এ বীজ সংগ্রহ করতে আলু বীজ চাষীদের পড়তে হয় শুভঙ্করের ফাঁকিতে। প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি করে আলু দেয়ার কথা থাকলেও চাষীদের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে ৫৩ কেজি করে আলু। এতে প্রত্যেক চাষীকে বস্তা প্রতি ৩ কেজি করে আলু বেশি দিতে হয়েছে।


চাষীরা অভিযোগ করেন, প্রতি মেট্রিক টনে হয় ২০ বস্তা আলু। সেই হিসেবে এক হাজার ৭০০ মেট্রিক টনে হয় ৩৪ হাজার বস্তা আলু। প্রতি বস্তায় ৩ কেজি করে আলু বেশি নেয়া হলে কৃষকদের কাছ থেকে বিএডিসি রাজশাহীর উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল কাদের এক লাখ ২ হাজার কেজি আলু বেশি নিয়েছেন। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৫১ লাখ টাকা।


উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল কাদেরের কারণে এ অঞ্চলের বীজ আলু চাষীরা ক্ষতি মুখে পড়েছেন উল্লেখ করে তারা এর প্রতিকার চান।


অভিযোগে বলা হয়, কৃষকদের কাছ থেকে ৩ কেজি করে আলু বস্তা প্রতি বেশি নিলেও দাম শোধ করেছেন ৫০ কেজিরই। শুধু তাই না, চুক্তিবদ্ধ চাষীদের বস্তা, ট্যাক করা, ওজন দেয়া, লোড করা, বাছাই, শ্রমিক মূল্য সবকিছুই বহন করতে হয়েছে চাষীদের। বিএডিসির পক্ষ থেকে এসব খরচের জন্য প্রতি কেজিতে ১ টাকা ৫ পয়সা করে প্রদান করার কথা থাকলেও তা দেয়া হয়নি।


এদিকে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী যেসব চাষী বীজ আলু দিতে পারেননি তাদেরকে অবশিষ্ট বীজ আলু সরবরাহের জন্য চিঠিও দিয়েছেন রাজশাহী বিএডিসির (হিমাগার) উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) কেএম গোলাম সরওয়ার। যাদেরকে এ চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে তাদের কয়েকজন জানিয়েছেন তারা এ ধরণের কোনো চিঠি পাননি।


তবে এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএডিসি রাজশাহীর উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল কাদের বলেন, ২০২৩-২৪ মৌসুমে রাজশাহী বিএডিসির অধীনে ১৮টি ব্লকে চুক্তিবব্ধ মোট ২৮০ জন চাষী বীজ আলু চাষাবাদ করেন। এরমধ্যে কিছু কৃষক লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বিএডিসিতে আলু বীজ সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। যেসব চাষী ব্যর্থ হয়েছেন মূলত তারাই আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। এছাড়া বস্তা প্রতি ৩ কেজি করে আলু বেশি নেয়ার অভিযোগও সঠিক নয় বলে দাবি করেন তিনি।


বিবার্তা/মোস্তাফিজুর/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com