ধর্মপাশায় অগ্নিকাণ্ডে শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু, রহস্য উদঘাটনে তদন্ত
প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:৪৮
ধর্মপাশায় অগ্নিকাণ্ডে শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু, রহস্য উদঘাটনে তদন্ত
ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের শীমের খাল নামক আশ্রয়ণ প্রকল্পের এক জেলে পরিবারের ৪ শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।


সোমবার রাত সাড়ে বারোটার দিকে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন জেলে এমারুল (৪৫), তাঁর স্ত্রী পলি আক্তার (৩৫)), ছেলে পলাশ (১০), ফরহাদ (৮), ওমর ফারুক (৩),ও মেয়ে ফাতেমা (৫)।


শীমের খাল আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৫০টি পরিবারের বসবাস করে আসছে। ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের দক্ষিণ দিক দিয়ে তৃতীয় ঘরে এমারুল তার পরিবার নিয়ে বসবাস করার পাশাপাশি হাওরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করত। এমারুলের ঘরের আশেপাশের ঘরগুলোতে অনেকেই বসবাস করে না। ফলে ঘরগুলো ফাঁকা পড়ে আছে।


জানা যায়, সোমবারে এমারুল স্থানীয় বাজার থেকে ফল, মাংস ও কেরোসিন কিনে আনেন। পরে রাত সাড়ে বারোটার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়। ঘরের ভেতর থেকে দরজা লাগানো থাকায় ধারণা করা হচ্ছে ভেতরেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে।


এদিকে মঙ্গলবার সকালে ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, ধর্মপাশা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আলী ফরিদ আহমেদ, ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ এনামুল হক, জয়শ্রী ইউপি চেয়ারম্যান সঞ্জয় রায় চৌধুরী ঘটনাস্থলে যান। পরে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার আ.ফ.ম. আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।


আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা বাবুল মিয়া বলেন, রাত সাড়ে বারোটার দিকে প্রতিবেশী কামালের ডাক শুনে এগিয়ে দেখি এমারুলের ঘরের ভেতর আগুন জ্বলছে। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখি সবাই পুড়ে ছাই।


এমারুলের শ্বশুর চেরাগ আলী জানান, এমারুল ও তার স্ত্রীর মধ্যে টুকটাক ঝগড়াঝাঁটি হত। তারা নিজেরাই মীমাংসা করত। তবে এমন কোনো ঝগড়া হয়নি যার জন্য এমন হবে। কেন যে এমন হল ভেবে পাচ্ছি না।


এমারুলের মা তাসলিমা আক্তার ও বড় ভাই রাহাত আলী বলেন, কেন এমন ঘটনা ঘটেছে তা বুঝতে পারছি না।


ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, ভোরে রওয়ানা দিয়ে ওখানে পৌঁছান তিনি। আগুন কীভাবে লেগেছে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আশেপাশের ঘরে আগুন যায়নি। প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানিয়েছেন আগুনের ঘটনায় সময় ভেতর থেকে দরজা জানালা বন্ধ ছিল।


সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার আ.ফ.ম. আনোয়ার হোসেন বলেন, এই মর্মান্তিক ঘটনা কিভাবে ঘটল তা জানার চেষ্টা করছি। এর রহস্য উদঘাটনে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ও পিবিআইও কাজ করছে।


বিবার্তা/শহীদুল/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com